স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতি হলেও পড়াশোনার মানের সেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে না – জেলাশাসক
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ফুল নয় ফুলের চারাগাছ দিয়ে অতিথিদের বরণ করে অভিনব দৃষ্টান্তস্থাপন করল বর্ধমান জেলা সর্বশিক্ষা মিশন। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ২০১৮ সালের নির্মল বিদ্যালয় পুরষ্কার প্রাপক ১১৮টি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলকে এদিন সম্বর্ধিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই অতিথিদের বরণ করা হল ফুলের স্তবকের বদলে ফুলেরই চারাগাছ দিয়ে। অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক মোট ১১৮টি স্কুলকে এদিন দেওয়া হল ২০১৮ সালের নির্মল বিদ্যালয় পুরষ্কার। মঙ্গলবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জ লাইস্কুলকে এবছর যামিনী রায় পুরষ্কারে ভূষিত হওয়ায় তাদের পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়াও পূর্বস্থলীর অন্নদাপ্রসাদ এফ পি স্কুলকে এবং পশ্চিম বর্ধমানের নেপালী পাড়া হিন্দি হাইস্কুলকে এপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট পুরষ্কারের জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। এছাড়াও শিশুমিত্র পুরষ্কার প্রাপক রায়নার মাছখান্দা হাইস্কুল,টিকাইপুর ২নং প্রাথমিক বিদ্যালয়,নতুনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম বর্ধমানের উখরা আদর্শ হিন্দি হাইস্কুল, নিমচা কোলিয়ারি হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিজরা প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সম্বর্ধিত করা হয়। নির্মল বিদ্যালয় সংক্রান্ত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় ২৪জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলা সর্বশিক্ষা প্রকল্পাধিকারিক মৌলি সান্যাল এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও। জেলাশাসক এদিন জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন স্কুলের পরিকাঠামো ঠিক ছিল না, রাস্তা ছিল না – কিন্তু তখন পড়াশোনা ভাল হত। কিন্তু প্রতিটি স্কুলেই পরিকাঠামো অনেক উন্নততর হয়েছে আধুনিক হয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় পড়াশোনার মান উন্নয়ন হচ্ছে না। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্লাষ্টিক মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রচুর পরিমাণে পাট উত্পন্ন হয়। তিনি চেষ্টা করছেন এই পাট দিয়ে কিভাবে প্লাষ্টিকের ব্যবহার কমানো যায়। এরই পাশাপাশি এদিন তিনি সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন জল সংরক্ষণ নিয়ে প্রত্যেককেই এবার কাজ করতে হবে। কিভাবে প্রতিটি স্কুলে স্কুলে জলসংরক্ষণ করা যায় তার নক্সা দিতে বলেছেন তাঁকে। প্রসঙ্গত, এদিন জেলাশাসক বলেন, বেশ কয়েকটি স্কুলে মাটি খুঁড়ে গাছ লাগাতেগিয়ে দেখা গেছে মাটির তলায় সারি সারি প্লাষ্টিক। এই প্লাষ্টিক ক্রমশই সুস্থ জনজীবনকে অসুস্থ করে তুলছে। ড্রেনেজ সিস্টেমকে বন্ধ করে দিচ্ছে। এজন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যদি এগিয়ে আসে প্লাষ্টিক বর্জনের আওয়াজ তুলে তাহলেই প্লাষ্টিক মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।