বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কোথায় আদালতের নির্দেশ? বুধবার বিকালে বর্ধমান শহরে পুলিশের নাকের ডগায় হাতে বেপরোয়া অস্ত্র নিয়ে, ডিজে বাজিয়ে দাপিয়ে বেড়ালো বিভিন্ন রামনবমী আখড়া কমিটি। খোলা তরোয়াল, টাঙি নিয়ে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের সামনে উদ্দাম নাচলেন ভক্ত সমর্থকরা। এদিন বিকালে বর্ধমানের বাদামতলার নাগেশ্বর শিবতলা থেকে একটি ১৩ ফুটের হনুমান মূর্তি নিয়ে অস্ত্রহীন শোভাযাত্রা বের হয়ে জামতলা পর্যন্ত যায়। অপরদিকে, কার্জনগেট, জিটিরোড, বিসি রোড এলাকায় খোদ পুলিশ কর্মীদের সামনেই চলল অস্ত্র নিয়ে এই রামনবমীর মিছিল। যদিও কার্জনগেটের কাছে আসতেই অনেকে এই অস্ত্রকে লুকিয়ে নিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির পক্ষ থেকেও এদিন ক্ষমতা প্রদর্শনের এই মিছিল করা হল। আর উদ্দাম নাচে আহতও হলেন দুই কর্তব্যরত সাংবাদিক। মাথা ফাটল একজনের। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এবার আদালতের কড়া নির্দেশ ছিল অস্ত্র নিয়ে কোনো রামনবমীর মিছিল করা যাবে না। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ডিজে বাজানোও। কিন্তু আইন আইনের জায়গাতেই থাকলো এদিন। গোটা কার্জন গেট-সহ বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় রামনবমীর মিছিলে এদিন অস্ত্রের এই ঝনঝনানি দেখলো বর্ধমানের বাসিন্দারা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন এই মিছিল থেকে একটি তরোয়াল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যে সমস্ত আখড়া কমিটির নেতৃত্বে এই অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়েছে, পুলিশ তার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। এদিন বিকালে বর্ধমানের বিসি রোড দিয়ে একটি শোভাযাত্রা কার্জন গেটে আসে। এই শোভাযাত্রাতেই একাধিক তরোয়াল, টাঙি নিয়ে নাচানাচি করতে থাকেন ভক্ত সমর্থকরা। একইসঙ্গে বিশালাকার লাঠি, স্টিলের স্টিকে লাগানো পতাকা নিয়ে চলে নাচানাচি। এই খবর করতে গিয়ে লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে সুখবর পত্রিকার সাংবাদিক বিপুন ভট্টাচার্য্যের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন সহ-সাংবাদিকরা। এই লাঠির ঘায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন অপর এক সাংবাদিকও। এরপরই পুলিশ শোভাযাত্রা থেকে একটি তরোয়াল বাজেয়াপ্ত করে।