বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অবশেষে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ধমান শহরের শ্যামসায়র পাড়ের রামকৃষ্ণ আশ্রমকে বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করতে চলেছে। প্রায় একবছর ধরে এব্যাপারে বেলুড় মঠ থেকে প্রতিনিধিরা দফায় দফায় এসে এই আশ্রম ঘুরে গেছেন। আলোচনাও করেছেন বর্তমান আশ্রমের ট্রাষ্ট কমিটির সঙ্গে। জানা গেছে, এর আগেও বর্ধমানের এই শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমকে বেলুড় মঠের হাতে তুলে দেবার দাবী উঠেছিল। কিন্তু নানাবিধ কারণে তা আর হয়নি। উল্লেখ্য, এই আশ্রমের কাছেই ইশানেশ্বর মন্দিরে এসেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তার স্মৃতি ধন্য এই আশ্রমের তাই একটা বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে ভক্তমহলে। আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেলুড় মঠের এ্যাসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারী এবং এক মহারাজ আসেন এই আশ্রমে। বর্তমান আশ্রমের ট্রাষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের কাছে এই আশ্রমকে অধিগ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়। তারপরেই বেলুড় মঠ থেকে এই দুই প্রতিনিধি আসেন। তাঁরা আলোচনা করে ফিরে যাবার পর দ্বিতীয় দফায় আরও একটি সার্ভেয়ার টিম আসে। তারা আশ্রমের জায়গা, সম্পত্তি, ভবন প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যান। বর্তমান আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে আশ্রমের আয়ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব খতিয়েও দেখা হয়। জানা গেছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ চুলচেরা আলোচনা করার পর তা বেলুড় মঠ কমিটির বৈঠকে আশ্রম অধিগ্রহণ করার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে, এই আশ্রমের সঙ্গেই রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে সরকারী এই স্কুলের সঙ্গে আশ্রম কর্তৃপক্ষের একটি মামলাও চলছে। এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক গৌরীশংকর ভট্টাচার্য এদিন জানান, বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করলে তা ভালই হবে। আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল মহারাজকে বর্ধমানের এই আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্বামী শান্তানন্দ মহারাজ।