বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রেশনে নিয়মিত সামগ্রী না দেওয়া এবং সরাসরি রেশন দোকান থেকে মালের পরিবর্তে টাকা দেবার অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর বাজার এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। এই রেশন দোকানের গ্রাহক কমলকৃষ্ণ বসাক জানিয়েছেন, বড়নীলপুর বাজার এলাকায় থাকা অজিত কুমার দে-র রেশন দোকান (সপ নং ৯২) থেকে নিয়মিত রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়না। রেশন সামগ্রী দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের সময় দেওয়া হয়। আবার পরক্ষণেই সেই সময় পাল্টে দেওয়া হয়। ফলে উপভোক্তাদের হয়রানি দিনদিন বেড়ে চলেছে। তারই প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। শুধু তাইই নয়, গণবণ্টন ব্যবস্থায় সরকারি নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই রেশন দোকানদার যেসমস্ত গ্রাহক রেশনের মাল নিতে চাইছেন না তাঁদের সরাসরি টাকা দিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, অজিত কুমার দে-র নামে এই দোকানের লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে দোকান পরিচালনা করছেন তাঁর জামাই মণ্টা দাস। মণ্টা দাস স্বীকার করেছেন, যাঁরা মাল নিতে চান তাঁদের মাল দেন, আর যাঁরা মালের পরিবর্তে টাকা নিতে চান তাঁদের টাকা দেন। এরই পাশাপাশি এদিন মণ্টা দাস জানিয়েছেন, সরকারিভাবে তাঁকে সময়ে রেশনের মাল দেওয়া হয় না। এমনকি তাঁর যা প্রাপ্য তাঁর থেকে অনেক কম মাল দেওয়া হয় বলেই তিনি সমস্যায় পড়েছেন। এদিন এই রেশন দোকানদারের এই বেনিয়ম এবং দুর্নীতির বিষয় নিয়ে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর করে খাদ্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়েষ্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক পরেশনাথ হাজরা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মে রেশন ডিলার গ্রাহকদের রেশনের মালই কেবলমাত্র দিতে পারেন সরকারি নিয়ম মেনে। কোনোভাবেই মালের পরিবর্তে টাকা দেওয়া যায় না। এটা অপরাধ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারি নিয়ম এবং মাল বণ্টনের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে রেশন ডিলারের কার্ড পিছু মাল বণ্টন করা হয়। ফলে মাল কম পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে নিশ্চয়ই খাদ্য দপ্তর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এদিকে, এদিন এই রেশন দোকান নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বর্ধমান থানার পুলিশ।