E Purba Bardhaman

বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে সোচ্চার মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর

Representatives of human rights organization APDR spoke about the mismanagement of Burdwan Central Correctional Home Facility

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শনিবার মানবাধিকার সংগঠন “অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস”-এর এক প্রতিনিধি দল বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তিনজন বন্দির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে গেলো। এদিন এপিডিআরের তিন প্রতিনিধি জয়শ্রী পাল, দেবাশীষ নন্দী এবং কোয়েলী গাঙ্গুলী সংশোধনাগারের একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে সোচ্চার হন। এদিন জয়শ্রী পাল জানিয়েছেন, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপারের কাছে এদিন তাঁরা লিখিতভাবে এই অব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখানে তিনজন ‘রাজনৈতিক’ বন্দি আছেন। যদিও সরকার এদের ‘রাজনৈতিক’ বন্দি বলতে রাজি নয়। আমরা মনে করি তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাই তাঁরা রাজনৈতিক বন্দি। এই তিনজনের মধ্যে বন্দি অর্ণব দাম এখান থেকে পিএইচডি করছেন। বাকি দুজন হলেন ধৃতিরঞ্জন মাহাতো ও চুনারাম বাস্কে। তাঁরা এই তিনজনের সাথে দেখা করেছেন। এবং সংশোধনাগারের সুপারের সাথে দেখা করে ৩ টি দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। সুপারও দাবির সাথে অনেকটাই একমত। জয়শ্রীদেবী জানিয়েছেন,এই সংশোধনাগারে যা ধারণ ক্ষমতা তার থেকে বেশি বন্দি রয়েছেন। ফলে ওভারক্রাউডের জন্যই এই অব্যবস্থা। বন্দিদের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেড খাদ্য নিয়েও কিছু অভিযোগ আছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বন্দিদের ডাল খাওয়ানো হয়। কেন ডিম দেওয়া হয় না তা তাঁদের বোধগম্য হয়নি। বন্দিরা অনেক ক্ষেত্রেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি এতবড় সংশোধনাগারে সর্বক্ষণের জন্য কোনো চিকিৎসক নেই। বিশেষত, রাতে কোনো কিছু ঘটলে তার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার জন্য কোনো চিকিৎসকই থাকেন না। এব্যাপারে সুপার জানিয়েছেন, তেমন কিছু ঘটলে তাঁরা তৎক্ষণাৎ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। জয়শ্রীদেবী জানিয়েছেন, এটা কোনো সুষ্ঠু পরিকাঠামো হতে পারে না। তিনি জানিয়েছেন, শুধু বর্ধমানই নয়, তাঁরা ইতিপূর্বে রাজ্যের অন্যান্য জেলার একাধিক সংশোধনাগারে গিয়েও একই অবস্থা দেখেছেন। যাতে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হয় এটাও বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এছাড়াও বন্দিরা প্যারোল পাচ্ছেন না। লাইব্রেরিতে বই নেই, পর্যাপ্ত আলো নেই। এই বিষয়গুলি নিয়েও জেল সুপারের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন।

Exit mobile version