Site icon E Purba Bardhaman

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাঁ পায়ের পরিবর্তে ডান পায়ে অস্ত্রপচারের অভিযোগ

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বাঁ পায়ের পরিবর্তে একটি শিশুর ডান পায়ে অস্ত্রপচারের অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিশুটির পরিবারের লোকজন ও পড়শিরা। ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেন তারা। বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার পিছনে হাসপাতালের একটি কর্মী সংগঠনের উস্কানি ও হাত রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। জন্ম থেকেই শিশুটির দুটি পায়ে সমস্যা ছিল। কম সমস্যা থাকা পায়ে প্রথম অস্ত্রপচার করা হয়। পরে পরিবারের দাবি মেনে অন্য পায়েও অস্ত্রপচার করা হয়েছে। দুটি পায়ে অস্ত্রপচার জরুরি ছিল। তবে, অভিযোগ যখন উঠছে তখন তা খতিয়ে দেখা হবে। এর পিছনে হাসপাতালে একটি কর্মী সংগঠনের উস্কানি রয়েছে। কিছুদিন আগে সংগঠনের প্রতিনিধিরা আমার কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। হাসপাতালে কোনও কাজকর্ম হচ্ছেনা বলে সংগঠনটির অভিযোগ। হাসপাতাল ও সরকারকে বদনাম করতে এসব করা হচ্ছে। বিষয়টি উপরমহলে জানানো হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার আমতায় মাস আটের নবীনা পরভিনের বাড়ি। হুগলির আরামবাগের বালিদেওয়াগঞ্জে তার মামারবাড়ি। জন্ম থেকেই তার পায়ে সমস্যা রয়েছে। মামারবাড়ি থেকে তাকে আরামবাগ হাসপাতালে দেখানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক নবীনাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কয়েকমাস ধরে তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। পায়ের সমস্যা দূর করতে অস্ত্রপচার জরুরি বলে মত দেন হাসপাতালে চিকিৎসক। শিশুটির অস্ত্রপচারে রাজি হন পরিবারের লোকজন। সেইমতো এদিন শিশুটির পায়ে অস্ত্রপচার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির কেবলমাত্র বাঁ পায়ে সমস্যা ছিল। ডান পায়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, চিকিৎসক ভুল করে ডান পায়ে অস্ত্রপচার করেছেন। ঘটনার যথাযথ তদন্তের পাশাপাশি চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানান শিশুটির পরিবারের লোকজন। এমনকি ভুল অস্ত্রপচারের জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তারা। শিশুটির মামা নূরতাজ আলি খান বলেন, ভাগ্নীর বাঁ পায়ে সমস্যা ছিল। ডাক্তার ডান পায়ে অস্ত্রপচার করেছেন। এত বড় ভুল কিভাবে হল তা তদন্ত করা দরকার। এতে হাসপাতালের সুনাম নষ্ট হবে। সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিশুটি ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে। দোষী চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করছি।

Exit mobile version