E Purba Bardhaman

স্কুলের গেটের সামনে মদ্যপ অবস্থায় শুয়ে স্কুলের শিক্ষক, তুমুল আলোড়ন বর্ধমান শহরে

School teacher lying drunk in front of the school gate

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- স্কুল চলছে, নিয়মমতো প্রতিটি ক্লাসের শেষে স্কুলের ঘণ্টাও বাজছে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক স্কুলের গেটের সামনে ড্রেনের ওপরে সিমেন্টের স্লাবের ওপরে পায়ে পা দিয়ে শুয়ে রয়েছেন। শীতের পোশাক পরে, পায়ে নতুন জুতো পরে দিব্যি তিনি ঘুমাচ্ছেন। শনিবার সকালে বর্ধমান শহরের কাছারি রোডে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কার্যত মুখোমুখি বর্ধমান শিবকুমার হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন সাধারণ মানুষ। প্রথমদিকে কেউ কেউ ভেবেছিলেন হয়ত এই স্কুলের হিন্দি মাধ্যমের এই সহ শিক্ষক জয়রাম কুমার সিং অসুস্থ। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই সকলের ঘোর কাটল যখন দেখা গেল রীতিমতো মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষক। এমনকি তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তিনি কেন এইভাবে রয়েছেন, তখন মদ্যপ শিক্ষকের উত্তর স্কুলের গেট খোলেনি বলে তিনি শুয়ে রয়েছেন। আর রীতিমতো পা টলমল করা, মুখে মদের গন্ধ নিয়ে কোনোরকম উঠে দাঁড়িয়ে রীতিমতো মাতলামো করা এই শিক্ষকের আচরণ নিয়ে এদিন রীতিমতো বিস্মিত সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, এই স্কুলেরই হিন্দি বিভাগের সহশিক্ষক জয়রাম কুমার সিং দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই স্কুলেই শিক্ষকতা করছেন। এর আগেও মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তিনি ফের পুনর্বহাল হয়েছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মালিক জানিয়েছেন, হামেশাই মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসছেন এই শিক্ষক। এই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকেও জানানো হয়েছে। ডিআই অফিস থেকে জয়রাম বাবুকে ডেকেও ছিলেন। তিনি সেখানে ক্ষমা চেয়েছিলেন, আর হবেনা। তারপরেও এই ধরনের ঘটনা কয়েকবার ঘটে গেছে। আজ স্কুল চলাকালীন আবার তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এসেছেন। আমরা গেটটি বন্ধ রেখেছি। কারণ উনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এলে ছাত্র-ছাত্রীদের এটা ওটা ছুঁড়ে মারেন তাই আমরা গেটটি বন্ধ রেখেছি। মঙ্গলবার এই বিষয় স্কুল পরিদর্শককে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। এই বিষয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনলাম। কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অন্যদিকে, এই শিক্ষকের এহেন আচরণে রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে উঠেছেন অন্যান্য শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা। স্কুলের শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, তাঁরা রীতিমতো ভয়ে রয়েছেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তাঁরা লজ্জা পাচ্ছেন।

Exit mobile version