E Purba Bardhaman

দ্বিতীয় দফায় ডিজিটাল রেশনকার্ড সংক্রান্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হল বর্ধমান টাউন হলে

The second phase of submission of applications for digital ration card has started from today. At Burdwan Town Hall

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ডিজিটাল রেশনকার্ড সংক্রান্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ দ্বিতীয় দফায় শুরু হল বর্ধমান টাউন হলে। বর্ধমান শহরের ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই বিভাগের ইন্সপেক্টর দীপেন বড়াল জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে ৫ নভেম্বর থেকে এই আবেদনপত্র তোলা ও জমা দেওয়া শুরু হল, চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই কদিন টাউন হলের ক্যাম্পে নতুনভাবে পরিবার যুক্ত হওয়া, সংশোধন, পরিবারের বাদ থাকা সদস্যদের নথীভুক্ত করা-সহ রেশনকার্ড সংক্রান্ত ৩ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কাজ হবে। পাশাপাশি যাদের ডিজিটাল রেশনকার্ড ইতিমধ্যেই তৈরী হয়ে গেছে, তারা এখান থেকেই তাদের কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে ছুটির দিন এই ক্যাম্প বন্ধ থাকবে। অন্যান্য দিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ক্যাম্প খোলা থাকবে। দীপেনবাবু জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে যখন এই বিষয়ে বিশেষ শিবির হয়েছিল তখন বর্ধমান পুরসভা এলাকায় ৩ থেকে ০৯ নম্বর পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার আবেদনপত্র জমা পরেছে। এদিকে, রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করেছে ডিজিটাল রেশনকার্ড-এর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শিবিরের সঙ্গে এন আর সি-র সম্পর্ক নেই। তবে কেও যদি সামগ্রী নেবেন না কিন্তু রেশনকার্ড সংগ্রহে রাখতে ইচ্ছুক হন তাদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করল ভর্তুকিহীন রেশনকার্ড। এতে গ্রাহকের না নেওয়া সামগ্রী নিয়ে দুর্ণীতির প্রশ্নও উঠবে না। পাশাপাশি গ্রাহকরা রেশনকার্ড হিসাবে একটা পরিচয়পত্রও সঙ্গে রাখতে পারবেন। ভর্তুকিহীন রেশনকার্ড-এর জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে ১০ নম্বর আবেদনপত্র। ৫ নভেম্বর থেকে প্রথম এই আবেদনপত্র সংগ্রহ করা এবং জমা দেওয়ার কাজ শুরু হল। ভর্তুকিহীন রেশনকার্ড-এর জন্য অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। প্রথম দিনই বর্ধমান টাউন হলের শিবিরে অনেককেই দেখাগেল এন আর সি-সহ কখন কোন কাজে দরকার হয় এই আতংকে ভর্তুকিহীন রেশনকার্ড-এর আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে। এরই পাশাপাশি, রাজ্য খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন থাকায় স্টেটাস রিপোর্ট প্রিন্ট আউট করতে না পারায় তৈরী হয়ে থাকা ডিজিটাল রেশনকার্ড উপভোক্তারা পাচ্ছেনা না বলে এদিন অভিযোগ উঠল। এদিন টাউন হল শিবিরে এসে বর্ধমান শহরের তেজগঞ্জের বাসিন্দা বাপন ঘোষ জানান, তিনি কয়েকদিন আগেই ওয়েবসাইটে বারকোড দিয়ে সার্চ করে দেখেছেন তার ডিজিটাল রেশনকার্ড কার্ড তৈরী হয়ে রয়েছে। তাই তিনি এদিন শিবির থেকে রেশনকার্ড সংগ্রহ করতে এসেছেন। কিন্তু তাকে ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য প্রিন্ট করে আনতে বলা হয়। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য দেখতে পেলেও, দিন দুয়েক ধরে আর তা দেখা যাচ্ছে না। সার্ভার ডাউন। তাই প্রিন্ট করা সম্ভব হয়নি। প্রিন্ট না থাকায় তাকে কার্ড দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান। ফলে কার্ড না নিয়েই তাকে ফিরতে হচ্ছে। বর্ধমান শহরের ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই বিভাগের ইন্সপেক্টর দীপেন বড়াল জানিয়েছেন, দু-তিনদিন হল ওয়েবসাইটে বারকোড দিয়ে তথ্য দেখা যাচ্ছে না। আমরা কলকাতায় খাদ্য দপ্তরে বিষয়টা জানিয়েছি। আশাকরি ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।

Exit mobile version