E Purba Bardhaman

বিজেপি শাসিত রাজ্যেই সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক, বাংলায় কথা বলায় অত্যাচার চালানো হচ্ছে – সামিরুল ইসলাম

'Shramik Mela' started in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বাম আমলে নামেই শ্রমিক কল্যাণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সর্বাত্মক কল্যাণ করা হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। রবিবার বর্ধমানের তেলিপুকুর সুকান্ত সংঘের মাঠে দু’দিনব্যাপী রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এদিন কার্যতই সরকারি এই মঞ্চ থেকেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার থেকে বিগত বাংলার বাম সরকারকে। এদিন তিনি বলেন, বাম আমলে শ্রমিক কল্যাণে কিছুই করা হয়নি। একইসঙ্গে সামিরুল ইসলাম এদিন দাবি করেন, গোটা দেশের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যার নিরিখে সব থেকে প্রথমে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। প্রায় ২৭ শতাংশ। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে ২ মাসের জেল খাটানোর কথা উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, কেবলমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যে। সব থেকে এই প্রবণতা বেশি যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্য রয়েছে। তিনি বলেন, অথচ অন্য রাজ্য থেকে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় আসেন, তাঁদের সুরক্ষার সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন বাংলার তৃণমূল সরকার। তিনি এদিন অভিযোগ করেছেন, কেবলমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের পিটিয়ে খুন করার মত ঘটনাও ঘটেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। সাংসদ জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি বারবার রাজ্যসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা রাজ্য জুড়ে পাড়ায় পাড়ায় “সমস্যা সমাধান – জনসংযোগ” কর্মসূচিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করার আবেদন জানান পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। তিনি জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা আপনাদের পাড়ায় পৌঁছাচ্ছেন, তাঁদের কাছে নিজেদের সমস্যার বিষয়ে জানান, জেলা প্রশাসন সেই সমস্ত সমস্যা সমাধানে বদ্ধ পরিকর। জেলাশাসক জানিয়েছেন, গোটা জেলায় ১ লক্ষ ৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এখনও নাম নথিভুক্ত করেছেন। এরপরেও কেউ যদি বাকি থাকে তাহলে এই সময়কালের মধ্যে দ্রুত নাম লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন জেলাশাসক।

Exit mobile version