বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চোর সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করার খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালালো গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার আলমপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত্রি প্রায় ১২টা নাগাদ দেওয়ানদিঘী থানায় খবর আসে আলমপুর গ্রামে কয়েকজনকে চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হচ্ছে। এই খবর শুনেই পুলিশের মোবাইল ভ্যান ঘটনাস্থলে হাজির হলে পুলিশকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে আরও বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে আগত ৬ জন পুরুষ পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার অন্তর্গত আলমপুর গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁদের পেশা ছিল গ্রামেগঞ্জে প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি ফেরি করা। বেশ কয়েকদিন ধরেই আশেপাশে গ্রামে চুরি হচ্ছিল। আলমপুর গ্রামবাসীদের এঁদের প্রতি সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার রাত্রি প্রায় ১২টা নাগাদ ওই বাসিন্দাদের মধ্যে ৪ জন গ্রামের একটি জায়গায় জড়ো হয়। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা তাঁদের চোর সন্দেহে আটকে বেধড়ক মারধর ও লাঠিপেটা করে। এই খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘী থানার এএসআই তরুণ কুমার লেট অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপরই গ্রামবাসীরা চড়াও হয় পুলিশের ওপর। ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও। গ্রামবাসীদের হামলায় জখম হন এএসআই তরুণ লেট। তাঁকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ৮টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৪ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় কয়েকজন গ্রামবাসীও আহত হন। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও আলমপুর গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা করার রেকর্ড রয়েছে।