বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রায়না-১ ব্লকে পলাশন পঞ্চায়েত অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও প্রধানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগে ধৃত দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ ১৭ জনের জামিন মঞ্জুর করল বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বাসুদের ঘোষ, জাকির হোসেন, শেখ আব্দুল রেজ্জাক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, আদিত্য ভট্টাচার্য, সমীর কোঙার, পার্থসারথি লাহা, শেখ নঈম, কাজি আশরাফ ওরফে মিঠু, শেখ ইসমাইল, শেখ আজফার, কল্লোল মণ্ডল, আশিস ঢোলে, শেখ লতিফ, শেখ আব্বাস, সাবির আলি মল্লিক ও মহাদেব ঘোষ বর্ধমানের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে বাসুদেব ঘোষ ও জাকির হোসেন পঞ্চায়েতের সদস্য। কল্লোল রায়না-১ ব্লকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন বিশেষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফের জামিনের আবেদন করেন। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে ভীতি প্রদর্শন না করার শের্ত আত্মসমর্পণকারীদের জামিন মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক।
আদালতে পঞ্চায়েতের প্রধান অভিযোগ করেন, গত ১৫ জুলাই পঞ্চায়েত এলাকার রামবাটি গ্রামে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প চলছিল। সেখানে তিনি ও পঞ্চায়েতের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পঞ্চায়েত সদস্যরা সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত অফিসে হামলা চালায়। অফিসের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লোপাট করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরেরদিন পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় ফের গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাঁকে জাত তুলে কথা বলা হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, সিজেএম আদালতে এসসিএসটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের নিের্দশ দেয়।