E Purba Bardhaman

বাইক চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার সেচ দপ্তরের কর্মী

Staff of Irrigation Department arrested for stealing bikes

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পুলিশী তদন্ত নয়রীতিমত কয়েকজন বন্ধুর তদন্তেই ধরা পড়ল বর্ধমানের সেচদপ্তরের কর্মীর বাইক চুরির দুঃসাহসিক কাজ। মঙ্গলবার রাতে ওই বাইক চুরির অভিযোগে সেচ দপ্তরের কর্মীকে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতের নাম সুব্রত রায়। বাড়ি বর্ধমান শহরের ডিভিসি মোড় এলাকায়। তিনি বর্ধমানের সেচ দপ্তরের কর্মী। জানা গেছেগত ২৬ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানের উল্লাস বাস টার্মিনাসের মোটর সাইকেল স্ট্যাণ্ড থেকে একটি বাইক চুরি হয়। এব‌্যাপারে ওই বাইকের মালিক বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে পুলিশ ওই বাস টার্মিনাসের পার্কিংএর দায়িত্বে থাকা কর্মীকে বর্ধমান থানায় ডেকে পাঠায়। বাইকের মালিক এবং বাস টার্মিনাসের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মধ্যে মীমাংসায় বাইকের ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা দেওয়া হয় বাইকের মালিককে। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্তে না নামলেও বাস টার্মিনাসের ওই কর্মী এবং তাঁর বন্ধু বান্ধবরা তদন্তে নামেন। বাস টার্মিনাসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। বাইক চোরের ছবিও। সেই ছবি পরিচিতদের হোয়াটসআপ এবং ফেসবুকে ছেড়ে চোরের পরিচয় জানার চেষ্টা হয়। আর তাতেই মেলে চোরের হদিশ। এরপর ওই বন্ধুদের দল চাঁদা নেওয়ার নাম করে হাজির হন বাইক চোরের বাড়িতে। আর তখনই বাড়িতে চুরি যাওয়া বাইকটি তাঁরা দেখতে পান। একইসঙ্গে দেখা যায় সেখানে আরও দুটি বাইক রয়েছে। আর ওই বাইকে নেই কোনো নাম্বার প্লেট। এরপরই ওই বন্ধু বান্ধবরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সুব্রত রায়কে। প্রথমটায় গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও মারধর করার পর তিনি স্বীকার করেনএই প্রথমবারই তিনি বাইক চুরি করেছেন। আর কখনো করবেন না। এরপরই বর্ধমান থানার পুলিশকে ডেকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশী জেরায় সে জানিয়েছেওই বাইকে কোনো তালা দেওয়া ছিল না। এমনকি বাইকের মালিক ভুলবশত বাইকেই চাবি রেখে চলে যান। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগান সেচ দপ্তরের কর্মী সুব্রত রায়।

Exit mobile version