E Purba Bardhaman

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা ফিন্যান্স দপ্তরের কর্মীদের কর্মবিরতির ঘটনায় উত্তেজনা

Staff of the Finance Department of Burdwan University have stopped working for some time today

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দিনের পর দিন পরীক্ষার খাতা দেখে গেলেও পাননি টাকা। কেন টাকা পাওয়া যাচ্ছে নাজানতে খোদ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপকরা। আর সেই অভিযোগ পেয়েই উপাচার্য সরাসরি অধ্যাপকদের জানিয়ে দেনসরকারী নিয়মানুযায়ীখাতা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের একাউণ্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাই বকেয়া থাকার কোনো কারণ নেই। এক্ষেত্রে কেন টাকা পাওয়া যাচ্ছে না তা ফিন্যান্স বিভাগই জানাতে পারবেন। আর এতেই অসম্মানিত হয়ে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করতে শুরু করলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের কর্মীরা। আর তাকে ঘিরেই শুরু হল উত্তেজনা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী সংগঠন এই ঘটনায় প্রতিবাদে নামলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ফিনান্স বিভাগের কর্মীদের অভিযোগবুধবার উপাচার্য নিমাই সাহা এই বিভাগের কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। আর তারই প্রতিবাদে এদিন ফিনান্স বিভাগের কর্মীরা সকাল থেকেই পেন ডাউন করেন। এর ফলে দূর দুরান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। এরপরেই তৃণমুল সমর্থিত কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ফিনান্স বিভাগে চলে আসেন। তাঁরা কর্মীদের কাজে যোগ দেবার আবেদন জানান। এনিয়েই দুপক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী সংগঠনের নেতা শ্যামাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেনফিনান্স বিভাগের কর্মীরা এদিন আচমকাই কর্মবিরতি পালন করতে থাকেন। এর ফলে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাঁরা আবেদন জানানকর্মীদের কাজে ফেরত যাবার জন্য। তাঁদের যদি দাবী দাওয়া বা কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তা আলোচনার মধ্যেই মেটানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে সংগঠন তাঁদের পাশে আছে। কিন্তু কখনই কর্মবিরতিকে তাঁরা রেয়াত করবেন না। এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে খোদ উপাচার্য আসেন ঘটনাস্থলে। তিনি কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে। পরে তাঁরা কাজে যোগ দেন। যদিও উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেনকর্মীদের কিছু বক্তব্য ছিল। এটা একেবারেই আভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনো গোলমাল হয়নি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছেঅধ্যাপকদের অভিযোগপ্রায় এক বছর ধরেই বিভিন্ন সেমিষ্টারের খাতা দেখার টাকা পাচ্ছেন না। আর তাতেই তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল ওঠে ফিনান্স বিভাগের বিরুদ্ধে।

Exit mobile version