কেতুগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- পায়রা চোর সন্দেহে নবম শ্রেণীর এক কিশোরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ দাস (১৫)। বাড়ি কেতুগ্রাম থানার পাণ্ডুগ্রামে। সে পান্ডুগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। শনিবার সকালে কেতুগ্রাম থানার মাসুন্দি গ্রামের কাছে মাঠে তার দেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পায়রা চোর সন্দেহে বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে মাঠে ফেলে দিয়ে গেছে মাসুন্দি গ্রামের লোকজন। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বিকাশ দাসের একমাত্র পুত্র বিশ্বজিৎ দাস। বাড়িতে পায়রা পোষার শখ ছিল বিশ্বজিতের। বেশ কয়েকটি পোষা পায়রাও রয়েছে তাদের বাড়িতে। কিন্তু শুক্রবার সকালে দু’টি পায়রা সে দেখতে পাচ্ছিল না। সেই কারণে দুই বন্ধু বাবুসোনা দাস ও শুভ দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুই পায়রার সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজিৎ। খুঁজতে খুঁজতে তারা পাণ্ডুগ্রামের পাশে মাসুন্দি গ্রামে চলে যায়। সেখানে গিয়ে একটি বাড়ির চালের ওপর পায়রা দুটি বসে থাকতে দেখে তারা সঙ্গে আনা মশারি দিয়ে ধরার চেষ্টা করছিল। আর তাদের সেই অপরাধের জেরে বিশ্বজিৎ-সহ তিনজনকে মাসুন্দি গ্রামের লোকজন আটকে রেখে বেদম মারধর করে বলে অভিযোগ।