E Purba Bardhaman

বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আজ শনিবার বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। আইনজীবীদের নির্বাচনকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। বারের নির্বাচনে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক ছোঁয়া লেগেছে। নির্বাচনে বামপন্থী আইনজীবী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স ইউনিয়ন সরাসরি অংশ নিচ্ছেনা। তবে, তাদের ভোটের উপর নির্বাচনের ফল অনেকটাই নির্ভর করছে। সরাসরি না হলেও বিজেপির কয়েকজন এবারের নির্বাচনে লড়ছেন। সে কারণে এবারের নির্বাচনে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক রং লেগেছে। সহ-সম্পাদকের চারটি পদে এবার কড়া লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সহ-সভাপতি পদেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। নির্বাচনের দিনই ফল ঘোষণা হবে। তবে, ফল প্রকাশ হতে অনেক রাত হতে পারে বলে বার সূত্রে জানা গিয়েছে।
সভাপতি পদে এবার নির্বাচন হচ্ছেনা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন উদয় মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক পদে লড়ছেন সদন তা ও আলি ইমাম শাহ। গত নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৩৭ ভোটে অরূপ দাসকে হারিয়ে সম্পাদক পদে জয়ী হন সদনবাবু। এবারও তিনি ফেভারিট হয়েই লড়ছেন। তাঁর সময়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। আইনজীবীদের বসার ঘর সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তিনি সম্পাদক থাকাকালীন। তৃণমূলের একটি অংশের সমর্থন ইমাম সাহেবের দিকে রয়েছে। তাই, লড়াই কিছুটা জমতে পারে। সহ-সভাপতি পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সহ-সভাপতি পদে তিতাষ চৌধুরির সঙ্গে হরিদাস মুখোপাধ্যায়ের লড়াই জমার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সরকারি প্যানেলের আইনজীবী ছিলেন তিতাসবাবু। বিজেপি করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর হরিদাসবাবু বারের প্রাক্তন সহ-সম্পাদক। আইনজীবীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি সরকারি প্যানেলের আইনজীবী। তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বেশিরভাগের সমর্থন তাঁর দিকে থাকবে বলে মনে হয়। তবে, বারের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর সমর্থন কার দিকে যায় সহ-সভাপতি পদে কে নির্বাচিত হবেন তা অনেকটাই নির্ভর করছে। বামপন্থী আইনজীবীদের সমর্থন হরিদাসবাবুর দিকে রয়েছে। অন্যদিকে, জুনিয়র আইনজীবীদের একটা বড় অংশের সমর্থন রয়েছে তিতাসবাবুর দিকে। ভোটে কে জেতেন তা জানতে ফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সহ-সম্পাদক পদে এবার ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। গতবারের তিন সহ-সম্পাদক পার্থ হাটি, সঞ্জয় ঘোষ ও মোল্লা মহতাবউদ্দিন এবারও নির্বাচনে লড়ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ফেভারিট হিসাবে শুরু করবেন। এই আসনে বিজেপির আশিস পাল লড়ছেন। এছাড়াও আলি আফজল মণ্ডল লড়াইয়ে রয়েছেন। কৈলাশ পাশোয়ান এবারের নির্বাচনে ডার্ক হর্স হতে পারেন। অঘটন ঘটিয়ে তিনি জিতে যেতে পারেন। বারের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সমর্থন তাঁর দিকেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন সুদীপ্ত সামন্ত, কুণাল বক্সি, অমিতা ভট্টাচার্য, লোকনাথ দে ও পুষ্পেন্দু চৌধুরি। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে এঁদের যে কেউ জিতে যেতে পারেন। কোষাধ্যক্ষ পদে লড়ছেন কল্যাণ মাঝি ও রবি কুমার সাউ। আইনজীবীদের মধ্যে গতবার প্রচুর ভোটে জিতেছিলেন কল্যাণবাবু। এবারও তাঁর জেতার সম্ভাবনা প্রবল। তবে, খেলায় অনেক সময় ছোট দলের কাছে বড় দলকে হারতে হয়। তেমন কিছু ঘটাতে হলে প্রায় অসাধ্য সাধন করতে হবে কল্যাণবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বিকে।

Exit mobile version