বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিপদ সঙ্গী হলেও সচেতন থাকা জরুরি। এই বার্তাকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলবার কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত হল থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং কর্মসূচি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের সহযোগিতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড নেচার অর্গানাইজেশন থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা শিবিরের পাশাপাশি এদিন এই স্ক্রিনিং কর্মসূচির আয়োজন করে।
বর্ধমান হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের পরামর্শদাতা সুবর্ণা বিশ্বাস ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিদ্যালয়ের সবার থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং করা হবে। বর্তমানে প্রতি বছর দেশ জুড়ে আট হাজার মতো নতুন থ্যালাসেমিয়া বাহক বা রোগী চিহ্নিত হচ্ছে, এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ চার হাজারের বেশি শুধু এই পশ্চিমবঙ্গেই। এই তথ্য দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই সকলের এই পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কেউ রোগী প্রমাণিত হলে যেন হাসপাতালে যোগাযোগ করে। যারা বাহক তারা বিয়ের সময় দেখে নেবে তার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যেন বাহক না হয়। এইভাবেই থ্যালাসেমিয়ার শৃঙ্খল ভাঙ্গা সম্ভব হবে এবং সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক অরূপ নন্দী। তিনি সকল ছাত্রছাত্রীকে অনলাইন বা দোকান থেকে জিনিস কেনাকাটা করার পর প্রতারিত হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। কেন্দ্র সরকারের ১৯১৫ নম্বরে ফোন করে সমাধান পাওয়া যায় বলেও তিনি জানান। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে বর্ধমান উৎসব ময়দানে ক্রেতা সুরক্ষা মেলা হবে, তাতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড নেচার অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি স্বপ্না বরাট বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তের হাতে একটি কাজু গাছ তুলে দেন।
প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, আজকাল অসুস্থ হলে আমাদের নানান রকম পরীক্ষা করাতে হয়। সেরকমভাবে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করে নিজের শরীরের অবস্থা জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি জানান, এদিন ৩৮৪ জন ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষা করিয়েছে।