মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারীতে আয়োজিত হলো পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির নবম রাজ্য সম্মেলন। শনিবার সম্মেলনের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী অজ্ঞেয়ানন্দজী মহারাজ। রাজ্য সভাপতি বিভাস দে স্বাগত ভাষণ দেন, সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন রাজ্য সম্পাদক বরেন মন্ডল। সম্মেলন থেকে দাবি রাখা হয় ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে ও কৃষকের স্বার্থে আলোর সহায়ক মূল্য ঘোষণা করতে হবে, কমপক্ষে পাঁচ বছর একই ভাড়াতে হিমঘর রাখতে হবে, অনাদায়ি টাকা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলকে সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে, পশ্চিমবঙ্গে আলুবীজ খামার তৈরি করতে হবে, আলুভিত্তিক শিল্প গঠন করতে হবে, ব্ল্যাকলিস্ট-এর ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে, মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলাকে আনলোডিং-এর টাকা পাইয়ে দেওয়া, নো ক্লেম বোনাসের টাকা স্টোর মালিককে ফেরত দিতে হবে, প্রতি মাসে আলাদা আলাদা ভাড়া ঠিক করতে হবে, স্টোরে ওভার লোড করা কোনোভাবেই যাবে না প্রভৃতি।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে রবিবার প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশ্য সভার আগে মেমারি নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে সভা মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়। প্রকাশ্য সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষিজ বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী তথা পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, কাউন্সিলর বাপি ব্যানার্জী, সেখ ইউসুফ প্রমুখ। আলু ব্যবসায়ীদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে সহমত পোষণ করে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলু ব্যবসায়ী সমিতির পাশে আছে এবং তাঁদের দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি সমিতির সমস্ত সদস্যদের কাছে আহ্বান জানান ঐক্যবদ্ধ সংগঠন করার জন্য।