বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সরকারি আইনজীবী আপত্তি করলেন না। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে গেলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যানের জাল অনুমতিপত্র ব্যবহার করে বালি খাদান খোলার চেষ্টায় অভিযুক্ত। মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল আজিম মল্লিক। জামালপুর থানার চক্ষণজাদি গ্রামে তার বাড়ি। জামিনের আবেদনে আইনজীবী পার্থ হাঁটি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠিয়ে তদন্তকারী অফিসার ডেকে পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর অভিযুক্ত তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজির হয়েছিল। তদন্তে সব ধরনের সাহায্য করেছে অভিযুক্ত। যে কোনও শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করা হোক। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন নি। সে কথা উল্লেখ করে সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা, অভিযোগকারীকে ভীতি প্রদর্শন না করা এবং মামলার নির্ধারিত দিনে আদালতে নিয়মিত হাজিরার শর্তে আত্মসমর্পণকারীর জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্ষণজাদি গ্রামে ফুটবল মাঠ ও স্কুল লাগোয়া একটি জায়গায় আজিম বালি খাদান খোলার অনুমতি পেয়েছে বলে এলাকায় প্রচার হয়। এনিয়ে প্রায় শ’খানেক বাসিন্দা ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ জানান। অভিযোগে বাসিন্দারা জানান, যেখানে বালি খাদান খোলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তার খুব কাছেই রয়েছে খেলার মাঠ, হাইস্কুল ও নদী বাঁধ। বালি খাদান খোলার অনুমতি দেওয়া হলে সমস্যা দেখা দেবে। আজিম একটি অনুমতিপত্র দেখান। সেটি জাল বলে জানান ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এ ধরনের কোনও অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জামালপুরের বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে নির্দেশ দেন। তার ভিত্তিতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রত্যুষ বাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে থানা। অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান। তদন্তকারী অফিসার তাপস শীল নোটিশ পেয়ে ২১ নভেম্বর থানায় হাজির হয় অভিযুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।