বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলার ২৩টি ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কাজের নিরিখে তাদের পুরষ্কৃত করা হল। এদিন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে স্বীকৃতি -২০১৮ আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। গোটা জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে এই পুরষ্কার প্রদান করা হলেও এদিন সভাস্থলে অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা হাজির না থাকায় তীব্র সমালোচনায় মুখর হন সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, তাঁর আমলে বর্ধমান জেলা পরিষদ বোর্ডের এটাই শেষ অনুষ্ঠান। এরপরে নতুন মুখ আসতে চলেছে। তাঁরা ভাল কাজ করবেন। কিন্তু এই যে অনুষ্ঠান সেখানে সকলের উপস্থিতি থাকাটা উচিত ছিল। এটাই শৃঙ্খলাবোধ। কিন্তু মনে হচ্ছে সেই শৃঙখলাবোধে ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, চাবুক মেরে কখনও শৃঙ্খলা শেখানো যায় না। যাঁরা ভাল কাজ করেছেন তাঁরাই কেবল উপস্থিত থাকবেন, অন্যরা থাকবেন না- এটা ঠিক নয়। প্রায় একই সুরে এদিন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় কৃতিত্ব অর্জন করতে হলে নিজের কথা ভুলে অন্যের কথা ভাবতে হবে। কিন্তু তিনি দেখতে পাচ্ছেন, পঞ্চায়েত স্তরে কিছু মানুষ নিজেদের কথা বেশি ভাবছেন, অন্যের কথা কম ভাবছেন। উল্লেখ্য, এদিন ১০০ দিনের কাজে বর্ধমান ১নং পঞ্চায়েত সমিতি এবং নাদনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে। এই প্রকল্পে বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছে পূর্বস্থলী ১নং ব্লক। নির্মল বাংলা প্রকল্পে কাটোয়া – ১ পঞ্চায়েত সমিতি এবং পূর্বস্থলীর নিমদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন। গোটা জেলায় সার্বিকভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা রূপায়নে প্রথম পুরষ্কার পেয়েছ মেমারী-২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং শ্রেষ্ঠ মহকুমা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে কালনা মহকুমা।