E Purba Bardhaman

মহিলাকে ফুসলিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ দিল সিজেএম আদালত

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মহিলাকে ফুসলিয়ে মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান সিজেএম আদালত। ঘটনার কথা জানিয়ে আদালতে মামলা করেছেন মহিলা নিজেই। তার ভিত্তিতে কেস রুজু করে তদন্তের জন্য বর্ধমান থানার আইসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মহিলার আইনজীবী অরবিন্দ সামন্ত বলেন, বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছিল। কিন্তু, থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এসপিকে জানানোর পরও সক্রিয় হয়নি পুলিস। বিচার পেতে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, এ ধরণের অভিযোগ জানাতে থানায় কেউ আসেন নি। এলে অবশ্যই অভিযোগ নেওয়া হত। মামলা সাজাতে এসব বলা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়া মাত্র কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের জেবি মিত্র লেনে ওই মহিলার বাড়ি। বছর খানেক আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থানার দিগনগর বাজারের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই যুবক মহিলার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। মহিলাকে নানাভাবে প্রলোভন দেখায় সে। তার কথায় বিশ্বাস করে ৫ ভরি সোনা ও ২ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়েন মহিলা। অভিযুক্ত যুবক সোনার গয়না ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে মহিলাকে মুম্বইয়ে পতিতাপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। সেখানে মহিলাকে দিয়ে নোংরা কাজ করাতে বাধ্য করে সে। এরপরই নদিয়ার ওই যুবক নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে নিশ্চিত হন মহিলা। বহু মহিলাকে পাচারে সে জড়িত বলে জানতে পারেন তিনি। দেহ ব্যাবসা করতে অস্বীকার করলে মহিলাকে মারধর করা হত। চাপ দিয়ে তাঁকে নোংরা কাজ করতে বাধ্য করা হত। বহু নাবালিকা মেয়েকে সে মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করেছে বলে মহিলার অভিযোগ। মুম্বইয়ে কিছুদিন থাকার পর সেখানকার এক মহিলার সহযোগিতায় কোনও রকমে নিজেকে মুক্ত করেন তিনি। সেখান থেকে ট্রেনে বর্ধমানে ফেরেন তিনি। এখন তাঁর ঠাঁই হয়েছে পতিতালয়ে। তাঁর মতো বহু মেয়ের জীবন অভিযুক্ত যুবক নষ্ট করেছে বলে মহিলার অভিযোগ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিসের কাছে আরজি জানিয়েছেন ওই মহিলা।

Exit mobile version