বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার থেকে ট্রাক ড্রাইভার-সহ অন্যান্য গাড়ির ড্রাইভারদের ধর্মঘটের সঙ্গে বাস চালকরাও ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা। বর্ধমানের উল্লাস ও নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডে এদিন সকাল থেকেই যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করে চরম সমস্যার মুখে পড়েন। অন্যদিকে, চালকদের এই আন্দোলন উপেক্ষা করে সরকারি বাস নিয়ে যেতে গিয়ে আন্দোলনকারীরা জুতোর মালা পড়ালেন সরকারি বাসের চালককে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় পরিবহণ নীতির প্রতিবাদে বাস বন্ধ করে আন্দোলনে সামিল হন পূর্ব বর্ধমানের বাসচালকরা। বন্ধ হয়ে পড়ে একাধিক রুটের বাস। জেলার উল্লাস ও নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতেগোনা কয়েকটা বাস চললেও চলেনি সিংহভাগ বাসই। জরুরীকাজে বেড়িয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। নতুন কেন্দ্রীয় পরিবহণ আইনের ফলে চালকদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে তাই এই আইন অবিলম্বে রদ করার দাবি জানিয়েছেন বাস চালকরা। অন্যথায় আগামী দিনে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অপরদিকে, এদিন ধর্মঘট অমান্য করে গাড়ি চালানোয় বর্ধমান-কামারপুকুর রুটের একটি সরকারি বাসের চালকসহ বেশ কয়েকজন চালককে জুতোর মালা পড়িয়ে হাতে গোলাপফুল ও মিষ্টিমুখ করানো হল ধর্মঘটীদের তরফে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ নীতির প্রতিবাদে বর্ধমান আরামবাগ রাস্তা অবরোধ করেন গাড়ির চালকরা। রায়না থানার খালেরপুলে রাস্তা অবরোধে সামিল হন গাড়ির চালকরা। আর সেখানেই সরকারি বাস চালকদের সঙ্গে এই আচরণ করা হয়। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক দেখা দিয়েছে।