বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দাদার পর ভাই। একই পদ্ধতিতে অপহরণের ছক কষার ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিল বর্ধমানে। গত বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার সাতগেছিয়া পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসায়ী জয়ন্ত ঘোষকে একদল দুষ্কৃতি অপহরণ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার-সহ ৩ দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। শনিবার বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জ্জী জানিয়েছেন, জয়ন্ত ঘোষকে অপহরণ করার খবর পাওয়া মাত্রই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাসের নির্দেশে একটি টিম গঠন করে দ্রুত তল্লাশি শুরু হয়। সিসিটিভি, ফোনের টাওয়ার-সহ একাধিক সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পারেন সাতগেছিয়া এলাকারই বাসিন্দা সুখেন সূত্রধর এই অপহরণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে আব্বাস সেখ ও আলামত সেখ নামে আরও দুজনকে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাড়ি নদিয়ার পলাশীতে। রেজিনগর থানা এলাকা থেকেই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জয়ন্ত ঘোষ পুরোনো গাড়ি কেনা বেচার কাজ করেন। এর আগে জয়ন্ত ঘোষের দাদা বর্তমানে জামালপুরের বাসিন্দা তাঁকেও একইভাবে অপহরণ করা হয়েছিল। ব্যবসা সূত্রেই ধৃত আব্বাস সেখ জয়ন্ত’র কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা পেত। সেই টাকা আদায় করতেই এই অপহরণ বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন। অপহরণে ব্যবহৃত একটি সাদা চারচাকা গাড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই সাদা স্করপিও-র গাড়ির নাম্বার প্লেট বদল করা হয়েছে। ধৃতদের শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অপহরণ কাণ্ডে ৪ থেকে ৫ জন ছিল বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। বাকিদের ধরতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।