গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শনিবার বর্ধমানে পকসো আদালতের নবনির্মিত কক্ষের উদ্বোধন হল। ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে কক্ষের উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন বি লোকুর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের জেলা জজ কেশাং ডোমা ভুটিয়া ও অন্যান্য বিচারকরা। ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া প্রমূখ। আদালত কক্ষটির ভূয়সী প্রশংসা করেন বিচারপতিরা।
আদালত কক্ষটিকে শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হয়েছে। শিশুরা যাতে বিচার চলাকালীন স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে সে জন্য কক্ষটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আদালত কক্ষের দেওয়ালে নানা কার্টুন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুদের বসার জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের পরিবারের লোকজনের বসার পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশু এবং তাদের পরিবারের লোকজন যাতে ভয়হীনভাবে সাক্ষ্য দিতে পারে তার সব ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যাতে কোনও ভাবেই সাক্ষীদের দেখতে না পায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে আদালত কক্ষে। কক্ষে শিশুদের জন্য নানা ধরণের খেলার জিনিস রয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য চকলেট, কেক ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা আদালতে পকসো মামলার বিচার হত। কিন্তু, উচ্চ আদালত পৃথক পকসো আদালত কক্ষ তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আদালত কক্ষ কি ধরণের হবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। পৃথক পকসো আদালত তৈরি হওয়ায় খুশি আইনজীবীরা। পকসো আদালতের দুই সরকারি আইনজীবী তাপস সামন্ত ও গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক সময় শিশুরা সাক্ষী দিতে এসে ভয় পায়। অনুকূল অবস্থা না থাকায় সমস্যা হয় শিশুদের। আসামীদের সামনেই সাক্ষ্য পর্ব চলায় ভয় পেয়ে ঠিকঠাক তথ্য দিতে পারেনা শিশু ও তাদের পরিবারের লোকজন। নতুন ব্যবস্থায় সেই সমস্যা দূর হবে। খোলা মনে ও নির্ভয়ে ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারবে নির্যাতিত শিশু ও তার পরিবারের লোকজন।