বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বাজারে কাঁচা শাকসবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। বৃহস্পতিবারও বর্ধমানে খোলা বাজারে আলুর দাম ৪০-৪২ টাকায় ঘোরাফেরা করছে। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘট তুলে নেবার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপকভাবে হানাদারি চালানো হয়। এরপরই বুধবার ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক হবে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো হেরফের হল না। এদিনও জ্যোতি আলু ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন বাজারে। এদিকে, আলুর পাশাপাশি কাঁচা শাকসবজির দামও যখন উর্ধ্বমুখী তখন রীতিমতো কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আইসিডিএসের কর্মীরা। এই উর্ধ্বমুখী বাজারে আইসিডিএস সেন্টার চালাতে গিয়ে তাঁরা ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছেন। আর এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়েই জেলার আইসিডিএস কর্মীরা জেলাশাসকের কাছে বিক্ষোভ দেখালেন। এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে তাঁরা এব্যাপারে স্মারকলিপিও দিলেন। এদিন আইসিডিএসের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ৯ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এই আইসিডিএস সেন্টার চালাতে গিয়ে তাঁদের বেতনের টাকা দিয়ে খরচ চালাতে হচ্ছে। একাধিক সেন্টারে ২-৩ মাস পর তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরই মাঝে বাজার অগ্নিমূল্য এই অবস্থায় শিশু এবং প্রসূতিদের তাঁরা কীভাবে পুষ্টিকর খাবার দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। আইসিডিএসের কর্মীরা জানিয়েছেন, খোলা বাজারে এদিনও প্রতিটি সাড়ে ছটাকা দরে পোলট্রি ডিম বিক্রি হয়েছে। ফলে কীভাবে তাঁরা কিনবেন। এই ভর্তুকির টাকা কে দেবে? এরই পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের আইসিডিএসের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলা হচ্ছে। অথচ তাঁদের শেষ শাড়ি দেওয়া হয়েছিল ৪ বছর আগে। কীভাবে তাঁরা পোশাক পরবেন? আইসিডিএস কর্মী চন্দনা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, এরই পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রগুলিতে জল ও শৌচালয়ের সুব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁদের পক্ষে সেন্টার চালানো মুশকিল। বাধ্য হয়ে তাঁদের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে হবে। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় জেলা আইসিডিএস প্রকল্পাধিকারিক পদশূন্য হয়ে রয়েছে প্রায় এক মাস। সমাজ দপ্তরের আধিকারিক রয়েছেন এই দপ্তরের। এর ফলে আইসিডিএস কর্মীদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।