বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আসন্ন দুর্গাপুজোয় কয়েকটি পুজো কমিটি সরকারি নীতি নির্দেশ না মানায় তাদের অনুমোদন আটকে রাখার নির্দেশ দিলেন বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক তীর্থংকর বিশ্বাস। শনিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান শহর এলাকার ১৭৮টি পুজো মণ্ডপের হাতে রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার চেক তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ-সহ বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মণ্ডল, বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক তীর্থংকর বিশ্বাস, বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা, বর্ধমান পৌরসভার পুরপ্রধান পরেশ সরকার, বিধায়ক খোকন দাস-সহ জেলা পুলিশের আধিকারিকরাও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহকুমাশাসক পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ দেন, বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি সরকারি নির্দেশ মানেনি। তাদের অনুমোদন আটকে রাখুন। সরকারি গাইড না মেনে পুজো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। অন্যদিকে, এদিন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সরাসরি পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করে জানান, সরকারি নির্দেশ না মানলে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা এদিন সরব হন ডিজে বাজানো নিয়ে। তিনি এদিন আবেদন রাখেন, ডিজে ভয়াবহ ক্ষতি করছে। তাই ডিজে বাজানো বন্ধ করুন। এদিন জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা জেলায় এবছর প্রায় ৪০০০ হাজার পুজো কমিটিকে সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে। এরই পাশাপাশি প্রতিটি থানা থেকেও আলাদা করে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বড় বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে যেখানে দর্শকদের ভিড় হয়, সেখানে সিসিটিভি ছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। প্রতিটি বড় পুজো এলাকায় থাকছে পুলিশের হেল্প ডেস্ক। উল্লেখ্য, এদিনই পূর্ব বর্ধমান জেলার মোট ১২৯ টি পুজো মণ্ডপকে নিয়ে একটি গাইড ম্যাপেরও উদ্বোধন হয়। এই গাইড ম্যাপে স্থান পেয়েছে বর্ধমান থানা এলাকার ৫১ টি, কাটোয়া থানা এলাকার ২৮ টি, কালনা থানা এলাকার ১১ টি, গুসকরা থানা এলাকার ৬ টি এবং মেমারীর ৩৩ টি পুজো। এদিন উদ্বোধন করা হয় শিশুদের জন্য বিশেষ কার্ডও। এদিন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হবে ‘মা কার্নিভাল’। বড়নীলপুর মোড় থেকে বর্ধমান স্টেশন পর্যন্ত হবে এই কার্নিভাল।