E Purba Bardhaman

সোমবার কয়েকঘণ্টার বৃষ্টির জেরে জলে ভাসল গোটা বর্ধমান শহর

The entire Burdwan Town was practically submerged in water after several hours of continuous rain.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সোমবার একটানা কয়েকঘণ্টার আকাশভাঙা বৃষ্টির জেরে গোটা বর্ধমান শহর কার্যত জলে ভাসল। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বর্ধমান শহরের একাধিক এলাকা। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকার কারণেই এলাকার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শহরবাসীরা। সোমবার রাতের টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বর্ধমান পুর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশই। বর্ধমানের সুভাষপল্লী, শুলিপুকুর মাঠপাড়া, লক্ষীপুরমাঠ, বিসি রোড, জিটি রোড, খোসবাগান, শ্যামলাল, নীলপুর-সহ একাধিক এলাকার অধিকাংশ রাস্তাই জলের নীচে চলে যায়। বেশ কিছু বাড়িতেও হাঁটু সমান জল ঢুকেছে। নার্স কোয়ার্টার মোড়ে বর্ধমান মেডিকেলে যাওয়ার অন্যতম রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েন পথচলতি মানুষ সহ স্কুল পড়ুয়ারা। বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার মাঠপাড়া এলাকায় সেচ ক্যানালের জল উপচে ও বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়ে যায় পুরো এলাকা। মাঠপাড়া এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই জল ঢুকেছে। রাস্তাঘাট জলে থৈ থৈ অবস্থা। এলাকায় থাকা বেশিরভাগ মানুষকে উদ্ধার করে রাতেই স্কুল ও ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে একটানা এই বৃষ্টি এবং শহরের মূল রাস্তাগুলিতে হাঁটু সমান জল জমে যাওয়ায় বহু গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারও এই জল যন্ত্রণা অব্যাহত থাকল বর্ধমান শহরের একাধিক এলাকায়। যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকেই জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। অপরদিকে, মেমারীর নিমো কোলেপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে ধান রোপণের কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। জখম হয়েছেন ৪ জন। মৃতার নাম ডলি রায় (৩৫)। বাড়ি মেমারীর কোলেপাড়া এলাকাতেই। আহতরা মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে মেমারীর কোলেপাড়ায় জমিতে ধান রোয়ার কাজ করতে যান ১০-১২ জন ক্ষেতমজুর। রোয়ার কাজ চলাকালীন অবস্থায় বজ্রপাত হলে বজ্রাহত হন ডলি রায়-সহ ৫ জন। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে মেমারী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডলি রায়-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

Exit mobile version