E Purba Bardhaman

ভোলার সন্ত্রাসে আতঙ্কিত গোটা গ্রাম

The entire village is terrified by the terror of the bull

ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- ভোলার সন্ত্রাসে আতঙ্কিত গোটা গ্রাম। প্রশাসনও কার্যত অসহায়। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দারা তাই প্রমাদ গুনছেন। ভোলার বেলাগাম হামলার বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি মহকুমা ও জেলাপ্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর ১ নম্বর কলোনি। গ্রামে প্রায় ১২৫টি পরিবার বাস করে। তবে সবাই এখন ভোলার আক্রমণে তটস্থ। ভোলা আর কেউ নয় আসলে একটি মালিকানাহীন কালো ষাঁড়। মাস ছয়েক আগে ভোলার আগমন, শুরুতে গ্রামের বাসিন্দারা নামকরণ করেছিলেন “ভোলেবাবা”। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে নিজস্ব রূপধারণ করে আক্রমণাত্মক হতে লাগলো “ভোলেবাবা” ওরফে ভোলা। ঠিক কী কারণে “মুড সুইং” সেটা পরিষ্কার নয়। ভোলার ক্রোধের শিকার হয়ে মনোরঞ্জন বৈরাগী, মহেন্দ্র ঘোষের মতো একাধিক গ্রামের বাসিন্দা জখম হয়েছেন। প্রাণ গেছে গবাদি পশুরও, তবে বর্তমানে ভোলা আরও বেশি আক্রমণাত্মক ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিকে সেভাবে ক্ষতি না করলেও পরে ধীরে ধীরে জমির ফসল ও অন্যান্য গাছপালার অনিষ্ট করতে শুরু করলে ক্রমেই সখ্যতা কমতে থাকে গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে। বর্তমানে হঠাৎ করে মুড সুইং হয়ে যাওয়ায় শিশু এবং বৃদ্ধদের নিয়ে মূলত ভীষণ চিন্তায় গ্রামবাসীরা।
গ্রামের বাসিন্দা পাঁচু বৈদ্য, গীতা অধিকারীরা জানান, প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। ভোলার ভয়ে রাস্তায় কেউ বের হতে ভয় পাচ্ছেন। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক-সহ মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও প্রাণিম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাঁচু বৈদ্য বলেন, বনদপ্তরে খবর দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version