মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারীর গৃহবধূকে গলার নলি কেটে খুন করার ঘটনার পিছনে রয়েছে পরকীয়া সম্পর্ক? প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান পরকীয়া সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন হতে হয়েছে মেমারীর গৃহবধূকে। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২ জনকে। ধৃতদের নাম তপন দাস ও ইব্রাহিম সেখ। ইব্রাহিম-এর বাড়ি মশাগ্রামে এবং তপন দাস-এর বাড়ি দেবীপুরে। ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের এদিন বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। পুলিশের দাবি, খুনের সময় দুজনই উপস্থিত ছিল। শনিবার রাতে ঘর থেকে মেমারীর গৃহবধূর নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেমারির এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তদন্তে নামে মেমারী থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মশাগ্রামের বাসিন্দা সেখ ইব্রাহিমের সাথে বেশ কয়েক বছর আগেই পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই মহিলার। সেই সম্পর্ক থাকাকালীনই নতুন করে বছরখানেক আগে গৃহবধূর সাথে পরিচয় হয় তপন দাসের। তার সাথেও গড়ে ওঠে পরকীয়া সম্পর্ক। এরই মধ্যে কয়েক মাস আগে ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পারে তপন। যার জেরে তপনের সাথে মনোমালিন্য শুরু হয় ওই মহিলার। তপন বারেবারেই মহিলাকে ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কথা বললেও সেই কথায় কর্ণপাত করেনি সে। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই গত শনিবার ইব্রাহিমের সাথে ঘুরতে যান ওই মহিলা। এই কথা জানতে পারে তপন। সেই নিয়ে সম্পর্কে চিড় ধরে দুজনের। শনিবারই সন্ধ্যাবেলায় তপনকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন মহিলা। তপন বাড়িতে এসে মহিলাকে ইব্রাহিমের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। ক্ষিপ্ত হয়ে তপন মহিলার গলা লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পরে সে। পরে সুযোগ বুঝে তপন ও ইব্রাহিম দুজনেই গা ঢাকা দেয়।