E Purba Bardhaman

বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বর্ধমানে নির্বিঘ্নে মাধ্যমিকের প্রথম দিন

The first day of Madhyamik was peaceful in Burdwan except for scattered incidents

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার নির্বিঘ্নে কাটল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন। যদিও এদিন সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার জেরে রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকদের। এবছরই মাধ্যমিক পরীক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে আসায় সকাল সকালই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিলই, তারই মধ্যে এদিন ঘন কুয়াশার জন্যও বাড়তি পুলিশী নজরদারি রাখা হয়েছিল। এবছর কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে। যানজট মোকাবিলায় সকাল থেকেই তৎপর ছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। যদিও এরই মধ্যে বর্ধমানের ভাতাড় থানার বলগোনা-গুসকরা রোডের দাউরাডাঙ্গা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পরীক্ষার্থীর খুড়তুতো দাদার। মৃতের নাম অরিজিৎ ঘোষ (২১)। বাড়ি ভাতাড়ের বেরুয়া গ্রামে। তিনি এদিন তাঁর খুড়তুতো বোনকে অন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে চারচাকা গাড়িতে চাপিয়ে পিছনে মোটরবাইক নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গ্যাসের লরির সঙ্গে তাঁর মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। আহত হয়েছেন অরিজিত ঘোষের দিদি রিক্তা ঘোষ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই মাঝে স্কুলের সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য করা “হেল্প ক্যাম্প” নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের সামনে। বচসায় জড়ান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার ও এসএফআই কর্মীরা। এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরীর অভিযোগ, যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে তাই প্রতিবছরের মতো একটু বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে এসএফআই-এর তরফে বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের সামনে একটি “হেল্প ক্যাম্প” করা হয়। সেখানে এসেই বাধার সৃষ্টি করেন বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সনৎ বক্সী। কার্যত মারমুখী ভঙ্গিতে তিনি স্কুলের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদ জানান তাঁরা। অন্যদিকে, কাউন্সিলার সনৎ বক্সির অভিযোগ, সহযোগিতার নামে স্কুলের গেট আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে এসএফআই কর্মীরা লিফলেট বিলি করছিলো। জীবনের প্রথম পরীক্ষা দিতে আসা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই তাদের স্কুলের গেট থেকে সরে যেতে বলেছি। এর বাইরে কিছু হয়নি।

Exit mobile version