বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ক্রেতা সেজে হরিণের শিং পাচারকারী ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বন বিভাগের সহকারী বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরি জানিয়েছেন, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ইস্টার্ন রিজিয়নের কলকাতা অফিসের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন এই হরিণের শিং পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামে নিয়ে আসা হবে। সেই সূত্র অনুযায়ী বুধবার থেকেই তাঁরা তৈরি ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার কুলীন গ্রামে ওই পাচারকারীরা বিকাল ৫টা- সাড়ে ৫ টায় ঢোকে। বনদপ্তরের দুজন স্টাফ পরিচয় গোপন করে ক্রেতা হিসেবে দাম দর করতে শুরু করেন। বুধবার রাত হয়ে যাওয়ায় অপারেশন হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অপারেশন হয়। জামালপুর থানা এলাকার কুলীন গ্রামে পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়িতে হরিণের শিংগুলি এনে রাখা হয়েছিল। পুলিশকে গতকালই বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার যৌথভাবে হানা দিয়ে ৫ জন পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ২ জন এগুলো বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঝাড়খন্ড বা বিহার থেকে এই শিংগুলি নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক সম্বর হরিণের শিং। ২০ পিস টুকরো, তবে কটা হরিণের শিং এখনই বলা যাবে না। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২ জন আসানসোলের বাসিন্দা বলে ধৃতরা জানালেও কিন্তু ঠিকানা এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি। এই ২ জন প্রধানত বন্যপ্রান সংক্রান্ত অপরাধের র্যাকেটের সাথে যুক্ত। তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে আসানসোল বার্ণপুর রোডের বাসিন্দা শরদ কুমার সিনহা, আসানসোলের চাঁদা মোড়ের বাসিন্দা নয়ন কান্তি বাউড়ি, জৌগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, শংকর তালুকদার এবং সুশান্ত তালুকদার। সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, সাধারণত ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেই এগুলি ব্যবহৃত হয়। তবে এদিন উদ্ধার হওয়া শিংগুলি কোথায় এবং কেন নিয়ে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর লোকজন জৌগ্রামে ছিলেন এবং সঙ্গে ছিলেন বনদপ্তরের লোকজনও। যৌথ প্রচেষ্টায় এই সফলতা পাওয়া গেছে।