বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য অধিগৃহীত জমির আদালত নির্ধারিত মূল্য মেটালো সরকার। সরকারের কাছে জমির মালিকদের প্রাপ্য হয় ২ কোটি ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৩৩ টাকা। তা না মেটানোয় জেলাশাসকের বাংলো ও বিডিও অফিস নিলামে তোলার নির্দেশ দেন বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শেখ মহম্মদ রেজা। আদালতের নির্দেশে গত ১৫ মার্চ নিলাম হয়। কিন্তু, ক্রেতা না মেলায় নিলাম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে জেলা শাসক পরিবহণ সচিবকে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানান। পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে জেলা শাসকের আলোচনার পর টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের তরফে দুটি চেকে পুরো টাকা জমা করা হয়। শুক্রবার আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। মেমারির আনন্দবাজারের শম্ভুনাথ পাঠকের .৪৮ একর জমি অধিগৃহীত হয়। আনন্দবাজারেরই বিষ্ণুনারায়ণ পাঠক ও মধুসূদন পাঠকের ১.২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। অধিগৃহীত জমির জন্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। কিন্তু, সরকার নির্ধারিত মূল্যে খুশি হতে পারেন নি জমির মালিকরা। তারা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলা করেন। ২০১৫ সালে জমির মূল্য বাবদ শম্ভুনাথকে ৯০ লক্ষ ৮১ হাজার ৫০ টাকা এবং বিষ্ণুনারায়ণ ও মধুসূদনকে ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৯ হাজার ৭০০ টাকা সুদ সহ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরও জমির দাম মেটায়নি সরকার। বর্ধিত মূল্য পেতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জমির মালিকরা। আদালত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারকে বলে। তা না মানায় জেলা শাসকের বাংলো ও মেমারি-১ বিডিও অফিস নিলামে তোলার নির্দেশ দেন বিচারক।