বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে শনিবার দুপুর প্রায় ১ টা পর্যন্ত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলার জায়গায় জায়গায় চলল আয়কর হানা। স্বভাবতই এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন। যদিও এব্যাপারে আয়কর দপ্তরের কেউই মুখ খোলেননি। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বর্ধমান শহরের একাধিক সংস্থার অফিসে একযোগে আয়কর হানা হয়। জানা গেছে, বর্ধমানের সিটি টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার একাধিক সংস্থার অফিসে চলেছে আয়কর হানা। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের উচালন, সগড়াই, পালিতপুর ও বীরভূমের রামপুরহাটেও সংস্থাগুলির একাধিক কারখানায় একযোগে চলে এই আয়কর হানা। শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় একযোগে সংস্থাগুলির অফিস ও কারখানায় হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। জানা গেছে, সংস্থাগুলি মূলত চাল রপ্তানির কাজ করে। এছাড়াও বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানে সংস্থারগুলির একাধিক রাইসমিল ও বস্তা ফ্যাক্টরী রয়েছে। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তদন্তে নেমে বীরভূমের একাধিক মিলের সাথে অনুব্রত মন্ডলের টাকার যোগ খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এরপর ফের বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক রাইসমিল কেন্দ্রীক সংস্থার অফিসে আয়কর হানায় স্বভাবতই এক্ষেত্রেও অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে কোনো যোগের কারণেই কি আয়কর হানা – তানিয়ে চর্চা চরমে উঠেছে শহর জুড়ে। যদিও এদিন আয়কর হানার পর একটি চাল গদির ম্যানেজার জানিয়েছেন, আয়করের এই ধরণের হানা নতুন কিছু নয়। মাঝেই মাঝেই এই ধরণের হানা হয়। ম্যারাথন এই হানা সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। তবে তাঁদের কাছে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁরা যা জানতে চেয়েছিলেন তা তাঁদের জানানো হয়েছে। কোথাও কোনো অসঙ্গতি নেই বলে দাবী করেছেন তিনি। অপরদিকে, শুক্রবার বর্ধমান শহরের কার্জন রেসিডেন্সিতে অবস্থিত একটি সংস্থার অফিসে অভিযান চালায় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। বীরভূমের রামপুরহাটের চকপাড়ায় ও পূর্ব বর্ধমানের সগড়াইয়ে এই সংস্থার দুটি রাইসমিল রয়েছে। তাছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে চালের ব্যবসা করে এই সংস্থা। যদিও এই আয়কর হানা নিয়ে এই সংস্থার কেউই কিছু বলতে চাননি। জানা গেছে, আয়কর দপ্তরের পশ্চিমবঙ্গের অনুসন্ধান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টরের তত্ত্বাবধানে এই হানাদারী চালান হয়েছে। যদিও, আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।