গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- জামালপুরে অনার কিলিংয়ের ঘটনায় ধৃত মহম্মদ মুস্তাফা ওরফে মুস্তাক ও মহম্মদ জাহিদকে পুলিসি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস। ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও জাহানাকে খুনে ব্যবহৃত পাথরের চাই উদ্ধারের জন্য ধৃতদের ১০ দিন পুলিসি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার নিবেদন শিকদার। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা পুলিসি হেপাজতের প্রয়োজনীয়তার কথা আদালতে উল্লেখ করেন। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের ৮ দিনের পুলিসি হেপাজত মঞ্জুর করেন।
পুলিস জানিয়েছে, গত ৩১ আগস্ট জামালপুর থানার ময়না এলাকায় নয়ানজুলির পাশ থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। সুরতহাল করার সময় মৃতার উরুতে ৫টি ফোন নম্বর ও এক যুবকের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিস মৃতার নাম জাহানা খাতুন বলে জানতে পারে। বিহারের মোজাফফরপুরের চাকএলাহাদাদে তার বাড়ি বলে জানা যায়। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে গিয়ে জাহানার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজন মেনে না নিয়ে জাহানাকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পারে পুলিস। জাহানাকে শনাক্তও করেন তার প্রেমিক। পরে কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে পুলিস জাহানার বাবা মুস্তাফা ও দাদা জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে অবশ্য তারা জাহানাকে শনাক্ত করতে চায়নি। পরে জেরায় ভেঙে পড়ে জাহানাকে খুনের কথা তার বাবা ও দাদা কবুল করে। নাইলনের দড়ি দিয়ে জাহানার গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে খুন করার কথা ধৃতরা পুলিসের কাছে স্বীকার করে। ভিন ধর্মের যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য পরিবারের সম্মান বাঁচাতে জাহানাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিসের কাছে জানায় তার বাবা ও দাদা। টিআই প্যারেডে ধৃতদের শনাক্ত করেছেন জামালপুর থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। জাহানার প্রেমিকের গোপন জবানবন্দিও নথিভূক্ত করিয়েছে পুলিস।