বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানে সরকারি কোষাগার ভবনের আয়রন চেস্ট ভেঙে ডাক ঘরের ৫৫ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনায় ধৃত বাপন কর্মকারকে নিজেদের হেপাজতে নিল পুলিশ। তাকে ১০ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সোমবার বাপনকে বাঁকুড়া সংশোধনাগার থেকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। চুরি যাওয়া বাকি টাকা উদ্ধারের কথা বলে পুলিশি হেপাজতের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভূইঞা। যদিও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে পুলিশি হেপাজতের বিরোধিতা করেন বাপনের আইনজীবী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়াল শুনে বাপনকে ১০ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বর্ধমান মুখ্য ডাকঘর থেকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা কোষাগার ভবনের আয়রন চেস্টে রাখা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেস্ট খুলে ৫৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চুরির বিষয়টি জানতে পারেন ডাকঘরের অফিসাররা। তদন্তে নেমে জেলা পুলিশের কনস্টেবল সুরজিৎ সিং মুড়া, সুপ্রিয় মালিক, গোপীকৃষ্ণ অধিকারী, অন্নপূর্ণা মণ্ডল ও বাবাই দে-কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সুরজিৎ এসপি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। অন্নপূর্ণা তার দিদি। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকায়। সুরজিৎ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড বলে জানতে পারে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় বাপন জড়িত ছিল বলে ধৃতদের কাছ থেকে জানতে পারে পুলিশ। ঘটনার পরই সে রাজ্য ছেড়ে পালায়। কিছুদিন আগে সে বাঁকুড়ায় ফেরে। দিন কয়েক আগে নাকা চেকিংয়ের সময় চোরাই বাইক সহ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তাকে ধরে। বাঁকুড়ায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ট্রেজারি কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার। তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তাকে হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ।