কালনা (পূর্ব বর্ধমান) :- জলমগ্ন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে থাকা লালজী মন্দির চত্বর। আর জলমগ্ন মন্দির চত্বরের চিত্র মানুষের সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ১৭৩৯ সালে বর্ধমানের রাজা কীর্তি চাঁদের জননী ব্রজকিশোরী দেবীর আর্থিক আনুকুল্যে কালনা রাজবাড়ি চত্বরে লালজী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। পঁচিশ রত্ন বিশিষ্ট টেরাকোটার কারুকাজ সম্বলিত এই মন্দির এখন জলমগ্ন। মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এ এস আই)। ভারতের ঐতিহ্যবাহী মন্দির হিসেবে ইতোমধ্যেই ডাকটিকিটে স্থান পেয়েছে কালনার লালজী মন্দির। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন রাজবাড়ি চত্বরে টেরেকোটা কাজে সমৃদ্ধ ২৫ চূড়ার এই মন্দিরকে দেখবার জন্য। আর দু’দিনের বৃষ্টিতে এই মন্দির জলমগ্ন। এক হাঁটু জল পেরিয়ে এই মন্দিরে ঢুকতে হচ্ছে। হতাশ পর্যটকেরা। এই অবস্থার জন্য বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আঙুল তুলছেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের দিকে। যদিও পুরাতত্ত্ব বিভাগের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।