E Purba Bardhaman

খেলাধূলায় গুরুত্ব কমছে, মাঠে আসছে না ছেলেমেয়েরা আক্ষেপ মন্ত্রীর

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা দেশ এখন বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিশ্বকাপের আলোচনা। কিন্তু তারই সঙ্গে কমবেশি সর্বত্রই আক্ষেপের সুর ঝড়ে পড়ছে ভারত কবে বিশ্বকাপ খেলবে ? মঙ্গলবার বর্ধমান টাউন হলে জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ আয়োজিত পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা ও রাজ্যস্তরের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের জন্য মোট ১১৫জনকে সম্বর্ধিত করা হল। এদিন বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানেও খোদ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের গলাতেও শোনা গেল একই আক্ষেপের সুর। মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সাংসদ সুনীল মণ্ডল, বিশিষ্ট ফুটবল খেলোয়াড় সন্দীপ নন্দী, জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত, বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস সহ বিশিষ্টজনেরা। এদিন জেলাশাসক বলেন, তিনি এদিন ভারতীয় দলের প্রতিনিধি বিশিষ্ট গোলরক্ষক সন্দীপ নন্দীর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, কেন ভারত বিশ্বকাপে যেতে পারছে না। জেলাশাসক বলেন, বিশ্বকাপে কেন আমাদের টিম নেই? আসলে ক্রীড়া ক্ষেত্রে গুরুত্বের একটা অভাব রয়েছে।এই গুরুত্বটাই এখন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের মধ্যে এব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্পোর্টস ছাড়া কোনো সমাজ গঠন ও উন্নতি করতে পারে না। সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে স্পোর্টসের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন বলেন, বর্তমানে ছেলেমেয়েদের মাঠে যাবার প্রবণতা হারিয়েছে। আগ্রহ কমেছে। আগ্রহ বেড়েছে মোবাইল, ইণ্টারনেটে। এখনকার ছেলেমেয়েরা ফুটবলও খেলেনা, শরীরচর্চাও করে না। ব্যায়াম করে না। ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নতির পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে মাঠেআসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, নিয়মিতভাবেই শরীর চর্চা করা দরকার। তিনি বলেন, আগে গ্রামের মাঠে একটা ফুটবল খেলা হলে বহু মানুষ উপস্থিত থাকতেন। উত্সাহ দিতেন। এখন আর সে সব দেখা যায় না। ছেলেমেয়েদের মাঠমুখী করতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। জেলা বিদ্যালয় সংসদের সম্পাদক গৌরীশংকর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন খেলাধূলায় জেলাস্তরে এবং রাজ্যস্তরে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছে এদিন তাদের সম্বর্ধিত করা হয়। একইসঙ্গে এবারেই জেলা প্রথম বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রশিক্ষকদেরও সম্মানিত করা হয়েছে। এদিন ৮৬জন ছাত্রছাত্রী এবং ২৯জন প্রশিক্ষককে সম্মানিত করা হয়।

Exit mobile version