বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের বেচারহাট এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। মৃত যুবকের নাম কুন্দন মহারাজ (২৫)। মৃতের শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পেশায় গাড়ির মালিক ও চালক কুন্দন হাওড়া জেলার লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণীর কুমার পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার গাড়ি ভাড়া করে চারজন ব্যক্তি বর্ধমানের দিকেই আসছিল। তারাই এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে পরিবারের দাবী। গাড়িতে আসার সময় যাত্রীদের কথাবার্তায় বিপদের আঁচ করেছিল কুন্দন। গোপনে সে মোবাইল ফোনে দু জনের ছবিও তুলে রাখে। খুনের পর অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক।
কুন্দন মহারাজের মৃতদেহ থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে গলসী থানার নলার কাছে তার গাড়িটি উদ্ধার হয়। গাড়ির বাঁ দিকে ধাক্কা লাগার চিহ্ন রয়েছে। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তমাখা ভোজালিও। সামগ্ৰিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত এর জন্য পাঠানো হয়েছে। কুন্দনের দাদা সুরজ মহারাজ জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে সাড়ে ৪টা নাগাদ লিলুয়ার অশোক হোটেলের সামনে ইনোভা গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন গাড়ি চালক কুন্দন মহারাজ। সেই সময় চারজন যুবক বর্ধমানের উদ্দেশ্যে যাবার কথা বলে কুন্দনের গাড়ি ভাড়া করে। যাত্রী নিয়ে বর্ধমানে যাচ্ছেন বলে বাড়িতে ফোনে তিনি তা জানিয়েও দেন। রাত্রি প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বেচারহাটের কাছে ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তবে ঠিক কি কারণে তাকে খুন করা হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।