E Purba Bardhaman

প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরী দেবার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে

The MLA is accused of taking 2.5 lakh rupees with the promise of giving a job as a primary teacher.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরী দেবার নাম করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এবার সরাসরি বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিকের বিরুদ্ধে। খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের লিখিত অভিযোগপত্র সোস্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে উঠেছে। আর তাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগকারী নিজেকে বিধায়ক নিশীথ মালিকের পাড়ারই ছেলে বলে দাবী করে ওই অভিযোগপত্রে লিখেছেন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করে দেবার নাম করে তাঁর কাছে ১০ লক্ষ টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চান বিধায়ক। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা দিতে না পারার কথা বললে শেষ পর্যন্ত তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দেন বিধায়ককে। কিন্তু ৬ বছর হয়ে গেলেও তাঁর চাকরী হয়নি এমনকি তাঁর অরিজিন্যাল কাগজপত্রও তাঁকে ফেরত দেননি। অভিযোগকারী ওই চাকরী প্রার্থী জানিয়েছেন, বারবার বিধায়ক নিশীথ মালিকের কাছে তিনি এব্যাপারে আবেদন করলেও তাঁকে দিনের পর দিন নানা অছিলায় ঘোরানো হচ্ছে। আর তাই বাধ্য হয়েই তিনি সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। অভিযোগকারী ওই যুবকের দাবী, এব্যাপারে তিনি সরাসরি ফোনে অভিষেকবাবুর কাছে অভিযোগ করার পর তিনি সমস্ত কাগজপত্র তাঁর কাছে পাঠানোর জন্য বলেন। আর তারপরেই তিনি চলতি জানুয়ারী মাসের ৪ তারিখে সমস্ত কাগজপত্র ও অভিযোগপত্র অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। শুধু অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ই নয়, এই অভিযোগ তিনি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি-সহ রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতৃত্বকেও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিবিআই যে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পর্ষদের কাছে তালিকা তুলে দিয়েছে সেই তালিকায় গ্রুপ ডি পদে খোদ নিশীথ মালিকের খুড়তুতো ভাই ছাড়াও তাঁর ছায়াসঙ্গীর নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। আর তার মাঝেই তাঁরই পাড়ার বাসিন্দা এই যুবকের চাকরী নিয়ে বিধায়ককে টাকা দেবার ঘটনা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এব্যাপারে খোদ বিধায়ক নিশীথ মালিকের বক্তব্য জানতে তাঁকে টেলিফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। অপরদিকে, এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টির মধ্যে সত্যতা কতটা আছে তা নিশ্চয়ই দল বিবেচনা করবে। আদপেই এই অভিযোগের কোনো সত্যতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু উনি দাবী করেছেন, দলের নেতৃত্বের কাছে তিনি অভিযোগ পাঠিয়েছেন তাই দল এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলেও দলই ব্যবস্থা নেবে।

Exit mobile version