বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে সিপিআই(এম) প্রার্থী করা হল ‘শিক্ষারত্ন’ সুকৃতি ঘোষালকে। শনিবারই তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এদিন বিকালে এই শিক্ষাবিদকে সামনে রেখে কার্জন গেট থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত মিছিল করল সিপিআইএম। এদিন সুকৃতিবাবু জানিয়েছেন, গরীব মানুষের জন্য তিনি কিছু করার চেষ্টা করবেন। ব্যক্তিগত নয়, তিনি সমষ্টিগত শক্তিকেই বিশ্বাস করবেন। ব্যক্তি ক্যারিশ্ম বলে রাজনীতির ময়দানে কিছু হয় না। দলগত অবস্থানই আসল। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি, তৃণমূল সবাই আছে। তিনি জেতার লক্ষ্য নিয়েই ময়দানে নেমেছেন। জেতার ব্যাপারে আশাবাদীও। আর এদিন সিপিআই(এম) ২০২০ সালে ‘শিক্ষারত্ন’ প্রাপক সুকৃতি ঘোষালকে প্রার্থী করার পরই শুরু হয়ে গেল তরজা। ২০২২ সালে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের দুপাশে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে রাজা ও রাণীর মূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন উদ্বোধনী মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ‘শিক্ষারত্ন’ সুকৃতি ঘোষালকে। তার পরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। সুকৃতিবাবু কি তাহলে বাম ছেড়ে ডানে ঢুকলেন? সেই সময়ই এই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এমনকি সুকৃতিবাবুর তৃণমূল নেতৃত্ব তথা জনপ্রতিনিধিদের সাথে মঞ্চে থাকা নিয়ে সিপিএম দলের অভ্যন্তরেও ঝড় ওঠে। পরে শোনা যায় গোটা বিষয়টিই মিটমাট হয়ে গেছে। আর এবার সরাসরি লোকসভার প্রার্থী করা হল সুকৃতিবাবুকেই। যা নিয়ে এদিন বিকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে নতুন করে চর্চা।
সিপিআই(এম) দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ড: সুকৃতি ঘোষালের বাড়ি বর্ধমানের বোরহাটে। তিনি রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয় হুগলি ও হাওড়া বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ২০০২ থেকে ২০২০ সাল দীর্ঘ ১৮ বছর বর্ধমান শহরে মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০২০ সালে ওই পদে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করার পর কিছু কাল রি-এমপ্লয়মেন্ট স্কিমের অধীনে হাওড়ায় নবগঠিত হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ‘নতুন চিঠি’ পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্বে রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে পার্টিতে প্রবেশ, পরে অধ্যাপক আন্দোলনে যুক্ত হন সুকৃতি ঘোষাল।