E Purba Bardhaman

পরিশোধিত জল কারখানার অংশীদার করার টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মালিক

The owner of the purified water plant was arrested for extorting money by baiting him to become a partner

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পরিশোধিত জল কারখানার অংশীদার করার টোপ দিয়ে ৯২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শান্তনু চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুর থানার গঙ্গাপুর হরিতলায় তার বাড়ি। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। টাকা উদ্ধারের জন্য ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিশ জানিয়েছে, আউশগ্রাম থানার ভোতার বাসিন্দা মিরাজ মণ্ডল একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার জোনাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার সময় ২০১৩ সালে শান্তনু ও তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। শান্তনু মোবাইল সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটর ছিল। জোনাল ম্যানেজারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে তাঁকে তাদের পরিশোধিত জল কারখানার অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে সম্মত হন তিনি। তাঁকে কোম্পানির মালিকানার পাশাপাশি লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তি হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি জল কারাখানায় বিনিয়োগ করেন। সব মিলিয়ে তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। লভ্যাংশের টাকা না পেয়ে তিনি হিসেব বুঝে নিতে চান। কিন্তু, এনিয়ে শান্তনু ও তার স্ত্রী টাল-বাহানা করতে থাকে। হিসেব না দেওয়ায় তিনি তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চান। কিন্তু, তা দিতে অস্বীকার করে অভিযুক্তরা। টাকা চাইতে তিনি কারখানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিনি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে থানা। অভিযুক্তদের থানায় হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়। যদিও তারা নোটিস পেয়েও থানায় হাজির হয়নি। গ্রেপ্তার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করে শান্তনুর স্ত্রী নিবেদিতা চক্রবর্তী। বর্ধমানের জেলা ও দায়রা আদালত তার আগাম জামিন মঞ্জুর করে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা ও দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করে শান্তনু। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দেন জেলা জজ।

Exit mobile version