E Purba Bardhaman

বর্ধমানের ‘শশাঙ্ক বিল’ বোজানোর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ

The Paschim Banga Vigyan Mancha is preparing to go to the High Court against the 'Sashanka Bill' waterbody filling

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ মৌজার শশাঙ্ক বিল বুজিয়ে সেখানে প্রোমোটার রাজ কায়েম করার অভিযোগ নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ উচ্চ আদালতের পাশাপাশি গ্রিন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হতে চলেছে। মঙ্গলবার বর্ধমানের আনন্দপল্লী বড়নীলপুর মোড়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে জলাভূমি রক্ষায় একটি প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সভাপতি ডাক্তার তুষারকান্তি বটব্যাল, কার্যকরী সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ‌্যায়, সম্পাদক আশুতোষ পাল, পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক অপূর্ব রতন ঘোষ, অর্থনীতির অধ‌্যাপক ভাস্কর গোস্বামী প্রমুখরাও। দিন তাঁরা বলেন, বর্ধমানের কিডনি হিসাবে পরিচিত এই প্রায় ৩০০ বিঘা জলাভূমি যা শশাঙ্ক বিল নামে পরিচিত। এই বিলের সঙ্গে যোগ রয়েছে শহরের লাইফলাইন বাঁকা নদীরও। বাঁকা নদীর উদ্বৃত্ত জল এই জলাভূমিকে এতাবৎকাল পুষ্ট করে এসেছে। এখন যদি এই বিল ভরাট করে সেখানে বহুতল ভবন তৈরি হয় তাহলে তা বর্ধমান বাসীর কাছে ভয়াবহ আকার নেবে। বক্তারা জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বাম পরিচালিত বর্ধমান পুরসভা সাফ জানিয়ে দেয় এই জলাভূমিকে কোনোভাবেই ভরাট করা যাবে না। এবং যাঁরা ভরাট করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড গোটা শহরেই লাগাতার পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। শশাঙ্ক বিল যার মধ্যে অন্যতম। এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসন অবিলম্বে এই জলাভূমি ভরাট বন্ধের চেষ্টা না করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন এবং একইসঙ্গে উচ্চ আদালত-সহ গ্রিন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হবেন।

Exit mobile version