ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস এবং তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো ও লিফলেট ছড়ানোর অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভাতার থানার পুলিস। দেওয়ানদিঘি ও ভাতার থানা এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় ছড়ানো কয়েকটি আপত্তিকর লিফলেট পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। এদিনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যুবতীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিস। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২২ জানুয়ারি ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, ভাতার থানা এলাকায় ওই যুবতীর বাড়ি। বছর দেড়েক আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মোবাইলে কথাবার্তা শুরু হয়। যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় ওই অভিযুক্ত। তাঁকে বর্ধমান শহরের একটি ডায়াগনস্টিক ল্যাবে কাজের ব্যবস্থাও করে দেয় সে। যুবতীকে সে বর্ধমান শহরে থাকার ব্যবস্থাও করে দেয়। পরে, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সে সহবাস করে। কিছুদিন পর যুবতী জানতে পারেন, ওই অভিযুক্ত বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। এসবের মধ্যেই যুবতীর অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর যুবতীর হবু স্বামী ও ভাইয়ের মোবাইলে অশ্লীল মেসেজ সে পাঠাতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকি যুবতীর হবু স্বামীকে অভিযুক্ত প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত বছরের ১৫ জুলাই যুবতীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর এলাকায় অশ্লীল মন্তব্য লেখা লিফলেট ছড়ানো হয়। তাঁর স্বামীকেও এ ধরনের অশ্লীল লিফলেট পাঠানো হয়। যুবতীর কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবি করে অভিযুক্ত। সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় সে। শনিবার গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর লিফলেট ছড়ানো হয়। তাতে ভাতার থানা এলাকার অভিযুক্ত জড়িত বলে যুবতীর অভিযোগ। ঘটনার কথা জানিয়ে সোমবার বিকেলে যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, তোলাবাজি, ভুয়ো পরিচয় দেওয়া, হুমকি দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা।