E Purba Bardhaman

রক্সৌল এক্সপ্রেসের পরপর ৩টি কামরায় দুঃসাহসিক ডাকাতি

The robbery happened in three bogies of the Raxaul Express train. Complaint has been made in the Burdwan GRP station

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখ নেপাল বেড়াতে গিয়েছিলেন বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ জনের একটি দল। রবিবার রক্সৌল এক্সপ্রেসে তাঁরা বর্ধমান ফিরছিলেন। কিন্তু পথেই গোটা বেড়ানোর আনন্দ পরিণত হল বিষাদ আর আতংকে। রবিবার বর্ধমান ফেরার পথে বিহারের লক্ষ্মীসরাই ষ্টেশন ছাড়ার পরই পরপর ৩টে কামরায় ব্যাপক লুঠতরাজ চালালো দুষ্কৃতিরা। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ল্যাগেজ ব্যাগ সহ নগদ টাকাঅলংকার ও মোবাইল ছিনতাই করা হয় চলন্ত ট্রেনে। দুষ্কৃতিদের বাধা দিতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। আতংকিত যাত্রীদের অভিযোগএই ঘটনায় ট্রেনের চেন টেনে ট্রেন থামালেও দেখা মেলেনি রেল পুলিশের। এমনকি দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যাবার পর রেলের টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের জানান,তাঁদের লাগেজপত্র রক্ষা করার দায় যাত্রীদেরই। এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ রেল যাত্রীরা রবিবার সকালে বর্ধমান ষ্টেশনে নামার পর রেলের জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রেলযাত্রী উত্তম কর্মকার জানিয়েছেনবর্ধমান শহরের ভাতছালামিঠাপুকুর ও রথতলা এলাকার ৩৫ জনের একটি দল গত ১০ মার্চ মিথিলা এক্সপ্রেসে করে সপ্তাহ খানেকের ভ্রমণে নেপাল বেড়াতে যান। রবিবার তাঁরা ফিরছিলেন। পর্যটকরা জানান ভোরের দিকে তখন সবাই তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময়ে চার পাঁচজনের একটি দুস্কৃতি দল তাঁদের কামরায় ওঠে। ল্যাগেজ ব্যাগমোবাইলসোনার বালা সহ নগদ টাকা নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। বাধা দিলে তারা ভোজালি দেখায়। এরপরই ট্রেন যাত্রীরা চেন টেনে গাড়ি থামায়। এরপরই তাঁরা জানতে পারেন পরপর ৩টি কামরায় একইভাবে ডাকাতি করা হয়েছে। এব্যাপারে বর্ধমান জিআরপির কাছে অভিযোগ জানালেও এদিন যাত্রীরা জানিয়েছেনরেল দপ্তর বারবার রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন বলে প্রচার করেন। এমনকি টোলফ্রি নাম্বারেও তাঁরা ফোন করলেও কোনো সহায়তা পাননি। 

Exit mobile version