Site icon E Purba Bardhaman

ছেলের মারে বাবার মৃত্যু

The son killed the father

মেমারি (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারি থানার জ্যোৎচৈতন গ্রামে ছেলের মারে মৃত্যু হল বাবার। বঁটির কোপে জখম হয়েছে ছেলেও। তার বাঁ কাঁধে কয়েকটি সেলাই হয়েছে। মৃতের নাম রণজিৎ টুডু (৫৩)। বাবাকে মেরে ফেলার অভিযোগে ছেলে রাবণ টুডুকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার ভোরে দেবীপুর স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিস তাকে ধরে। গ্রেপ্তার এড়াতে সে পালাচ্ছিল বলে পুলিসের অনুমান। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, রণজিৎ-এর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফুলমণি টুডুর হামেশাই ঝামেলা হত। মদ খাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বাধে। পেশায় দিনমজুর রাবণ বাবা-মাকে ঝগড়া থামাতে বলে। সে ঝগড়া থামাতে যায়। সেই সময় রণজিৎ ছেলের বাঁ কাঁধে বঁটির কোপ বসিয়ে দেয়। তাতে রাবণের বাঁ কাঁধে গভীর ক্ষত হয়। কোনও রকমে বাবার হাত থেকে বঁটি কেড়ে নেয় রাবণ। এরপর বাবা তাকে বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে। বাবা-ছেলের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে রণজিৎ পড়ে যান। তার মাথায় আঘাত লাগে। পরিবারের লোকজন তাকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন রণজিৎ। পরিবারের লোকজন তাকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের আত্মীয় পবন সরেন ঘটনার কথা জানিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় (৩০৪আইপিসি) মামলা রুজু করে পুলিস। মারধরে রণজিৎ-এর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। যদিও এদিন প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় রাবণ বলে, প্রায় প্রতিদিনই বাবা ও মায়ের অশান্তি হত। অশান্তি থামাতে গেলে বাবা বঁটি দিয়ে কোপ মারতে আসেন। তা থেকে বাঁচতে বাবাকে ঠেলে দিই। পড়ে গিয়ে বাবা মাথায় চোট পান। ডাক্তারও দেখাই। কিন্তু, বাবাকে বাঁচাতে পারলাম না।

Exit mobile version