E Purba Bardhaman

জেলা আদালত চত্বরে আইনজীবীদের নির্মীয়মান বসার ঘর ভাঙার নির্দেশ

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান জেলা আদালত চত্বরে আইনজীবীদের নির্মীয়মান বসার ঘর ভেঙে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সরকারের বিচার বিভাগের সচিব এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা জজকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বার অ্যাসোসিয়েশনকে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দিয়েছেন জেলা জজ কেশাং ডোমা ভূটিয়া। চিঠি পাওয়ার পর বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় গিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জোনাল জজ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। জোনাল জজ ২১ জুলাই পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য বারের পদাধিকারীদের বলেন। এরপরই নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ছড়িয়েছে আইনজীবী মহলে। সিদ্ধান্ত বদলের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বর্ধমান জেলা আদালতের শিমূল পুকুরের পাড়ে আইনজীবীদের দীর্ঘদিন ধরে সেরেস্তা রয়েছে। সেখানে আইনজীবীদের বসার জন্য ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বার অ্যাসোসিয়েশন। নির্মাণকাজ শুরুও হয়। ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। এরইমধ্যে পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ করার জন্য বার অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়। যদিও পুরসভার কাজ বন্ধের নোটিশকে তেমন আমল দিতে চাননি আইনজীবীরা। ঘর তৈরি নিয়ে জেলা জজের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে। বারের প্রতিনিধিরা জেলা জজের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ সবের মধ্যেই রাজ্য সরকারের বিচার বিভাগের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। বিচার বিভাগের সচিব চিঠি দিয়ে আদালতের চারপাশে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সরকারি নির্দেশে সমস্যায় পড়েছেন আইনজীবীরা। ঘর তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই মোটা টাকা খরচ করে ফেলেছেন তারা। আইনজীবীদের বক্তব্য, আদালত চত্বরে বিচার প্রার্থীদের বসার জায়গা নেই। বৃষ্টির সময় চরম সমস্যায় পড়েন আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা। বসার জায়গা না থাকায় জলে ভিজতে হয় তাঁদের। আদালত কক্ষের সামনে ভিড় জমান বিচার প্রার্থীরা। এতে বিচারকদেরও অসুবিধা হয়। সেরেস্তার হাল খারাপ হওয়ায় আইনজীবীরা সেখানে বসে ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। কিছুদিন আগে গাছ পড়ে কালনার এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির সময় আদালত চত্বরে যাতায়াতের সময় গাছ পড়ে আইনজীবীর মৃত্যু হয়। তাছাড়া আইনজীবীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বসার জায়গার অভাবে চরম সমস্যায় পড়তে হয় আইনজীবীদের। সে কারণে আইনজীবীদের বসার জায়গার সংস্কার করা হচ্ছিল। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, বিচার বিভাগের সচিব আদালত চত্বরের সব নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে আইনজীবীদের সমস্যা বাড়বে। বসে কাজ করার মতো জায়গা পাবেন না আইনজীবীরা। সমস্যার কথা জোনাল জজকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তার নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

Exit mobile version