E Purba Bardhaman

সোমবার বিজেপিতে, মঙ্গলবার তৃণমূলে; রক্তদান শিবিরের নামে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর অভিযোগ

The students and youths who joined the BJP yesterday said today that they are in the Trinamool Congress.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সোমবারই বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটির অফিসে তৃণমূল ছাত্রযুব থেকে আসা ৫০জনকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর অনুষ্ঠান হয়। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই ৫০জনের মধ্যে সিংহভাগ ছাত্র যুব তৃণমূলে যোগ দিয়ে জানালেন, রক্তদান শিবিরের নাম করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর জোর করে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। বস্তুত, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহর জুড়ে। সোমবার বিজেপি অফিসে যাওয়া এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাহুল দত্ত এদিন জানিয়েছেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু একসাথে থাকি। আমাদেরই একজন (বিল্লা বাল্মীকি) জানায় নীলপুরে রক্তদান শিবির হচ্ছে। আমরা ওখানে যাই। আমাদের তখন বলা হয় বিজেপি পার্টি অফিসের ভিতরে রক্তদান শিবির হচ্ছে। আমরা ভিতরে ঢুকি। সেখানে ঢোকার পরে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওখানে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিল। আমাদেরকেও মঞ্চে তুলে পিছনে দাঁড় করিয়ে দেয়। আমি ইউনিট সদস্য নই, তবে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ করি। অন্যদিকে, শান্তনু সাহানি জানিয়েছেন, আমরা ঢোকার পরে রুমের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদেরকে বলা হয়েছিল রক্তদান শিবির। রাতে ফোন করে রক্তদানের জন্য বলেছিল। আমাদেরকে জোর করে আটকে রেখে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। ৫০-৬০ জন ছিল। তবে আমাদের কলেজের তেমন কেউ ছিল না।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল রাজ কলেজের তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুরজ ঘোষের নেতৃত্বে ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সোমবারই বলেছিলাম তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কোনও সদস্য এই মুহূর্তে বিজেপিতে যোগ দেননি। সুরজ ঘোষ ২০১৯ সালেই মুকুল রায়ের সাথে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯-২০২৪ সালে তাঁকে কোনও তৃণমূলের কার্যক্রমে দেখা যায়নি। তবে গতকাল অন্য কয়েকজনকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারই মধ্যে দুজন এদিন আমাদের এখানে এসেছেন। বাকি আরও কয়েকজন বিশেষ কারণে আসতে পারেন নি। যাঁদেরকে ভুল বোঝান হয়েছিল তাঁরা বর্তমানে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিটের সদস্য না হলেও আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মী, আমাদের দলের সমর্থক। তাই তাঁদের বলপূর্বক বা ভুল বুঝিয়ে কিছু করলে তাঁদের আইনি কিছু সহযোগিতা লাগলে আমরা তাঁদের পাশে থাকবো। তিন বলেন, সুরজ ঘোষ তৃণমূলে থেকে পদ পেয়েছে, চাকরি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ কলেজে বহু দুর্নীতি করে অর্থ রোজগার করেছেন। এখন বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসে দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্বরাজ ঘোষ এদিন দাবি করেন, বর্ধমান রাজ কলেজ ইউনিটের ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করুক যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে, আমরা দল ছেড়ে দেবো। তিনি বলেন, রাজ কলেজের ইউনিটেই রয়েছে ৩১ জন মেম্বার, সেখানে ওরা বলেছে ৫০ জনকে যোগ করিয়েছে। যদিও এব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Exit mobile version