E Purba Bardhaman

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে এবার পথে নামল ছাত্রছাত্রীরা; কন্যাশ্রী, সবুজশ্রীর বদলে রাস্তায় নিরাপত্তা দাবি

The students took to the road with the RG Kar case; Instead of Kanyashree-Sabujshree, demand safety on the road

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী-সহ বর্ধমানের নান্দুড়ের আদিবাসী ছাত্রী খুনের ঘটনায় দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার পথে নামল ছাত্রছাত্রীরা। এদিন বর্ধমানের ডি এন দাস হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এই দাবিকে সামনে রেখে কাঞ্চননগর এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়। তাদের প্রত্যেকেরই দাবি আর জি কর-সহ দিকে দিকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচারের বিচার চাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র দত্ত জানিয়েছেন, আর জি কর-সহ দিকে দিকে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন ছাত্রছাত্রীরা পথে নেমেছে। একইসঙ্গে জীব বৈচিত্র্য বজায় রাখার দাবিও জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। এদিন এরই পাশাপাশি বর্ধমানের বিএসএনএল কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকে পালন করা হয় মানববন্ধন কর্মসূচি। এছাড়াও বর্ধমানের একাধিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এদিন কার্জন গেটের সামনে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এঁদের অধিকাংশেরই পরনে ছিল কালো পোশাক। এই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ থেকে আওয়াজ ওঠে, চাই না কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী। চাই নিরাপত্তা। এদিন বর্ধমানের গোলাপবাগের কৃষ্ণসায়র পার্ক থেকে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে ইউনাইটেড স্টুডেণ্ট ফ্রন্টের ব্যানারে। স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এদিন সমবেত হন কার্জনগেটে। মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। হরিসভা স্কুলের ছাত্রী সৃজনী চ্যাটার্জ্জী জানান, তাঁরা কোনো কিছুর বিনিময় চাননা। কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, সবুজশ্রীর থেকেও অনেক বেশি জরুরি নিরাপদ রাস্তা। যে রাস্তায় বের হলে বাড়ির অভিভাবকরা চিন্তিত হবেন না। সরকার সেই দায়িত্ব পালন করুক। অপরদিকে, আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের নতুন রূপ দেখা গেল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনের মঞ্চেই রক্ত দিলেন জুনিয়র ডাক্তার, কর্মী এবং রোগীর পরিজনেরাও। দিদির স্মৃতিতে রক্ত দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এদিন ১০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। সিনিয়র ডাক্তার গৌরাঙ্গ প্রামাণিক জানান, আর জি করে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু মানুষের জন্য পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি। তরুণ চিকিৎসক ডা: শুভ্রনীল ঘোষের কথায়, দুদিনের নোটিশে এই রক্তদান শিবির। সবাই সাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি বিচারের দাবিও আবার উঠেছে।

Exit mobile version