বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্কের অবসান ঘটালেন খোদ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। গত ১ আগস্ট বর্ধমান পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার দুপাশে থাকা জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বাদ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও ইউনিয়নের ৩টি অফিসকে। যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার মুখে পড়ে পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। এরপরেই শুক্রবার বিকালে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়ে দেন, শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ভাঙা হবে ওই তিনটি পার্টি অফিস। যথারীতি এনিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু এদিন পৌরসভার পক্ষ থেকে পে-লোডার চালিয়ে পার্টি অফিস ভাঙার আগেই তৃণমূলেরই নেতা-কর্মী নিজেরাই পার্টি অফিসগুলিকে ভেঙে দিলেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেটে ঢোকার মুখে ডানদিকে ফুটপাতেই গড়ে উঠেছিল আইএনটিটিইউটির ইউনিয়ন অফিস। হাসপাতালের এমারজেন্সি গেটের পাশে থাকা এই অফিসটি শনিবার সকাল থেকে আইএনটিটিইউটি কর্মীরা নিজেরাই ভেঙে দেন। একইভাবে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পূর্ব দিকে রাস্তার ধারে ফুটপাতে থাকা আরো দুটি অফিসের জানলা, দরজা ও পার্টি অফিসের ভেতরে থাকা জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলে তা ভেঙে দেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিন তৃণমূলের কর্মীরা জানিয়েছেন, এই অফিস তাঁদের কাছে ছিল আবেগ। নিজেদের হাতে তাঁরা তা তৈরি করেছিলেন। তাঁরা চাননি ওই অফিসে বুলডোজারের ছোঁয়া লাগুক। তাই নিজেরাই তা ভেঙে দিয়েছেন। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। তাই তাঁর নির্দেশ মাথা পেতে নিয়েই তাঁরা উন্নয়নের সঙ্গী হয়ে নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভেঙে দিলেন। যদিও এদিন অফিসগুলো সম্পূর্ণ ভাঙতে পৌরসভার পে-লোডার ব্যবহার করা হয়।