বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বৃহস্পতিবার থেকে বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির উদ্যোগে এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহায়তায় শুরু হল ৫ দিনের ত্রয়োবিংশ নাট্যমেলা। এদিন বর্ধমান টাউন হল থেকে নাট্যমেলা উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রায় হাঁটেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট যাত্রাভিনেতা স্বপন দেবনাথ, রাজ্য নাট্য অ্যাকাডেমির সচিব দেবকুমার হাজরা, বিধায়ক খোকন দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা-সহ জেলা পরিষদের একাধিক কর্মাধ্যক্ষরাও। টাউন হল থেকে সংস্কৃতি লোকমঞ্চ পর্যন্ত এই পদযাত্রার পর নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন তিনি বলেন, বর্তমানে মোবাইল ফোন এই নাটক, যাত্রার প্রতি আকর্ষণকে কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাত্রা, নাটক চর্চার শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে লাগাতার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও বিশেষকরে যুব সমাজকে আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। এব্যাপারে সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিকালে চায়ের দোকানে আড্ডা না মেরে এই লোক শিক্ষাকে চর্চা করার প্রতি তিনি জোড় দেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার রীতিমতো খেদ প্রকাশ করে জানান, যাঁরা নাটক করবেন সেই সমস্ত দলের প্রতিনিধিরাও যদি এদিন পদযাত্রায় সামিল হতেন তাহলে অনেক ভাল লাগত। কিন্তু তা দেখা গেল না। তিনি বলেন, কেবলমাত্র একদিন নাট্যমেলা করা নয়, বাস্তবজীবনে এর প্রকাশ ঘটাতে হবে। এই নাট্যমেলা চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কলকাতা ও হাওড়ার ৫ টি দল নাটক করবে। ২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে কলকাতার সংলাপ সংস্থার নাটক ‘চোপ! আদালত চলছে’। ২২ ডিসেম্বর কলকাতার দৃশ্যপট সংস্থার ‘রসময়ীর রসিকতা’। ২৩ ডিসেম্বর কলকাতার আনন্দপুর গুজব সংস্থার ‘বগলা চরিত মানস’। ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার অযান্ত্রিক নাট্য সংস্থার ‘শিবরাজ চরিত। এবং ২৫ ডিসেম্বর হাওড়ার লিলুয়া প্রগতি সংস্থার ‘সন্দীপনী’। এছাড়াও এই নাট্য মেলায় ২৬ ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিশুদের জন্য দুটি নাটক মঞ্চস্থ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি বর্ধমান দ্য পাপেটিয়ার্স-এর পুতুল নাটক ‘মি এন্ড মাই ফ্রেন্ড’। অন্যটি বর্ধমান মৌলিক-এর ‘হনুমতী পাল’।