E Purba Bardhaman

রাত পোহালেই সরস্বতী পূজা, শতাধিক পুজোকে কেন্দ্র করে কালনায় উৎসাহ উন্মাদনা তুঙ্গে

There is extreme enthusiasm and frenzy among the residents of Kalna over hundreds of Saraswati Pujas.

কালনা (পূর্ব বর্ধমান) :- রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। আর তার কয়েকদিন আগে থেকেই কালনা শহর ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে পুজোকে কেন্দ্র করে চরম উৎসাহ উন্মাদনা। যদিও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির ভ্রূকুটি পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কালনাবাসির কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ। এরই মধ্যে বিগ বিগ থিম নিয়ে প্রস্তুত কালনার পুজো কমিটিগুলি। ঝলমলে লাইটের চাদরে ঢেকেছে গোটা কালনা শহর। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে উদ্যোক্তাদের দাবি কালনা শহরে শতাধিক সরস্বতী পুজো হয়। যার অধিকাংশই বিগ বাজেটের। কালনার সরস্বতী পুজোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে এবছরই তৈরি হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’। যার সভাপতি করা হয়েছে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগকে। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সমস্ত পুজো কমিটির সম্পাদক, সভাপতিরা। বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, কালনা শহরে এবার অনুমোদিত ও অনুমোদিত নিয়ে ১০০-র বেশি পুজো হচ্ছে। এরমধ্যে অনুমোদিত পুজোর সংখ্যা প্রায় ৭৫ টা। এছাড়া কালনা শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায়ও প্রায় ৩০ টা বড় পুজো হচ্ছে। এই পুজোর এত ব্যাপকতার ইতিহাস প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট করে তাঁর ইতিহাস জানা নেই। অন্যান্য পুজোগুলোয় টেক্কা দেওয়া মুশকিল। কলকাতায় দুর্গাপুজো, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো, কাটোয়ায় কার্তিক পুজো, আবার কোথাও কালি পুজো জাঁকিয়ে বসে থাকে। সেখানে সরস্বতী পুজো নিয়ে কোথাও এত বাড়াবাড়ি নেই বলেই হয়ত কালনা সরস্বতী পুজোকে বেছে নিয়েছে। তবে তিনি ছোট থেকেই দেখে আসছেন সরস্বতী পুজোকে নিয়ে এই উন্মাদনা। তিনি তাঁর বাবার মুখে শুনেছেন আগে আরও ভালো হতো। তখন কালনা এতো ঘিঞ্জি এলাকা ছিল না, ফাঁকা জায়গা ছিল। তখন পুজোর সংখ্যা আরও বেশি ছিল। পুজো কমিটিগুলির বাজেট প্রসঙ্গে দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, বাজেট বলা খুব মুশকিল। কেউ সত্যি কথা বলবে না। তবে বড়ো পুজোগুলো গড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা এবং ছোট পুজোগুলো গড়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বাজেট থাকে। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে চলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে চরম প্রতিযোগিতা। দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, রেষারেষি না হলে পুজোর গ্ল্যামার তো উঠবে না। যেকোনও জিনিসে গ্ল্যামার বাড়াতে হলে রেষারেষি চাই। যুগের দ্বীপ, অগ্নিবীণা, নিউ ফরওয়ার্ড, রয়াল, ত্রিধারা-সহ বেশ কয়েকটি পুজোর মধ্যে এবার ভালোই লড়াই হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, এবার পুজোয় লাইটের ঝলকানিটা বেশি। ইতোমধ্যেই লাইটের ঝলকানি শুরু হয়ে গেছে। বড় দিন ও নববর্ষে ব্যবহৃত পার্কস্ট্রিটের লাইটে আলোকিত হয়েছে কালনা শহর। এবার প্যান্ডেল ও লাইটে (সিটিং) জোড় দেওয়া হচ্ছে তবে শোভাযাত্রাও বিশাল ভাবেই হবে। যদিও পরীক্ষার জন্য সাউন্ডের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে এবং সেটা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। কালনার সরস্বতী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ব্যান্ড পার্টি – পরীক্ষার জন্য এই ব্যান্ড পার্টিতে এবার কম জোড় দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বছর এরাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্য থেকেও খ্যাতনামা ব্যান্ড পার্টি নিয়ে আসা হয়। এবার এটা কম থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর বড়ো বড়ো প্যান্ডেলগুলো বিক্রি হয়। সেগুলি এখানে আনা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসন তাঁদের প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করছে। সমস্ত কিছু নিয়ে এই কালনার সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে ১০০ কোটি টাকার উপরে ব্যবসা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন দেবপ্রসাদ বাগ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল পান্ডে জানিয়েছেন, সরস্বতী পুজো কালনার বড় উৎসব। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। অন্যান্য বছর যে-রকম ব্যবস্থাপনা থাকে এবছর তার ওপর আরও কয়েকটা বিষয়কে যুক্ত করা হয়েছে। পুজোর জন্য ভারি যানবাহন শহরের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। জায়গায় জায়গায় পুলিশ পিকেট থাকবে। অ্যান্টি ইভ টিচিং স্কোয়াড থাকবে। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চলবে। নদীর ঘাটগুলোয় সিভিল ডিফেন্স গ্রুপ, পুলিশ কর্মীরা থাকবেন। সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মীরা থাকবেন। ছিনতাই রোখার জন্য বিশেষ টিম থাকবে। সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। আশাকরি কোনও অসুবিধা হবে না।
কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল সোমবার সকালে জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত এসডিও অফিসে ৪১ টা আবেদন এসেছে। এখনও সময় আছে। সোমবার ও মঙ্গলবার আরও প্রায় ২০ টা আবেদন আসবে। গতবছর কালনা মহকুমার অধীনস্থ ব্লক ও পৌরসভার সমস্ত অনুমতি এসডিও অফিস থেকে দেওয়া হয়েছিল। এবছর ব্লকের ক্ষেত্রে অনুমোদন বিডিও অফিস থেকেই হচ্ছে। গত বছর ৬৮ টি পুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য তিনদিন আগে থেকে মাইক ব্যবহারের বিধিনিষেধ নিয়ে চিফ সেক্রেটারির অর্ডার আছে। মাইক লাউড স্পিকারের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। পুজো কমিটিগুলোর সাথে দুবার মিটিং হয়েছে। পিডব্লিউডির অনুমোদন নিয়ে কিছু পুজো কমিটির কিছু সমস্যা ছিল। এবার ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য পিডব্লিউডি-র কাছে পুজোকমিটিগুলোকে যেতে হবে না। পিডব্লিউডি প্রতিনিধিরা নিজেরা গিয়ে দেখেই ফিটনেস সার্টিফিকেট দেবেন।
কালনা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল এই পুজোর ব্যাপকতার ইতিহাস পসঙ্গে জানিয়েছেন, যতদূর জানি কালনার বিদ্যা বাগীশ পাড়ার টোল থেকে এই পুজোর সূত্রপাত। তিনি বলেন, এবছর শতাধিক পুজো হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টা সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য পৌরসভা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। শহর পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন রাখা। ঘাটগুলোয় নজরদারি। পৌরসভার সি সি টিভি ক্যামেরায় শহরে নজরদারি সব দিক দেখা হচ্ছে। কমিটির স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি তিনি এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা রাস্তায় থেকে সমস্ত বিষয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার চেষ্টা করবেন।
স্পুটনিক-৭০ পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা শুভ্রশুচি দাস জানিয়েছেন, তাঁদের ৫৫ তম বর্ষের এই পুজোর বাজেট এখনও ফাইনাল না হলেও প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ছাড়াবে বলে তাঁরা মনে করছেন। তাঁদের পুজোয় এবার সিটিং-এ জোড় দেওয়া হয়েছে। এবারের থিম সনাতনীর আরাধনা। থাকবে ঐতিহ্যের বাগদেবীতে মন্দিরময় কালনা। মূর্তির সাজে কালনার সমস্ত মন্দির ফুটিয়ে তোলা হবে। কালনায় পুজোর ইতিহাস প্রসঙ্গে শুভ্রশুচি দাস জানিয়েছেন, একদম নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও এর ইতিহাস প্রায় ২৫০ বছরের। বর্ধমান রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় এই পুজোর এত বিস্তৃতি। যুগের দ্বীপ-এর উদ্যোক্তা রাজু সাহা জানিয়েছেন, তাঁদের এবার ৫৬ তম বর্ষ। তাইওয়ানের কাল্পনিক মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে। বাজেট ১০ লক্ষ টাকা। অগ্নিবীণার উদ্যোক্তা মানিক দাস জানিয়েছেন, তাঁদের এবার ৪২ তম বর্ষের আকর্ষণ থাইল্যান্ডের বুদ্ধ মন্দির। বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। সবুজ সমিতির প্রতাপ দত্ত জানিয়েছেন, ১৯৭৪ সাল থেকে চলে আসা তাঁদের পুজোয় এবারের থিম পুতুল নাচ। বাজেট ৬ লক্ষ টাকার উপরে। নিউ ফরওয়ার্ড-এর স্বপন পাল জানিয়েছেন, ১৯৬৩ সাল থেকে চলে আসা তাঁদের পুজোয় এবারের থিম সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। বাজেট ৮ লক্ষ টাকার উপরে। কালনা শহর লাগোয়া তালবনা সপ্তর্ষি পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা শংকর হালদার, পবিত্র দেবনাথ জানিয়েছেন, তাঁদের পুজো এবছর ৪১ বছরে পদার্পণ করছে। এবারের থিম ড্রিজনিল্যান্ড। তাঁদের বাজেট প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। শংকর হালদার জানিয়েছেন, কালনা শহরের বাইরে তালবনা, রামেশ্বরপুর, পিয়ারীনগর, ধাত্রীগ্রাম-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকায়ও বড়ো পুজো হয়।
অন্যদিকে, কালনায় সরস্বতী পুজোর এত ব্যাপকতার প্রসঙ্গে আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গবেষক স্বপন কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, এর ধারাবাহিক কোনও ইতিহাস পাওয়া যায় নি। কিন্তু কয়েকটা পরোক্ষ সূত্র ধরে কিছু কথা বলা যায়। তিনি বলেন, যেমন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদীর বদ্ধবেনী এলাহাবাদ কুম্ভ। মুক্তবেণি ত্রিবেণী। মুক্তবেণিতে সরস্বতী একদিকে বয়ে গেলো। আর এখানেই অর্থাৎ ত্রিবেণী, মগরা, আদিসপ্তগ্রাম অঞ্চলে সরস্বতী পুজোর ব্যাপকতা বেশি। কিন্তু কালনায় সেই অর্থে সরস্বতী নদীর প্রভাব নেই। সেক্ষেত্রে কালনায় কেনো সরস্বতী পুজোর এতো ব্যাপকতা? বর্ধমান জেলায় যখন রাজারা রাজ্য বিস্তার করল তখন তাঁদের গঙ্গাবাস বা দ্বিতীয় রাজধানী হয়ে উঠেছিল দাঁইহাট ইন্দ্রাণী। বর্গি হামলা অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে অর্থাৎ ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। বর্গি হামলার আঘাত বারবার নেমে আসছিল ইন্দ্রাণী পরগণাকে কেন্দ্র করে। এদিকে কয়েকটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গা নদীও প্রায় দুই-আড়াই কিলোমিটার পূর্ব দিকে সরে গেলো। ফলে রাজধানী স্থানান্তরিত হলো কালনায়। বর্ধমান রাজার গঙ্গাবাস বা দ্বিতীয় রাজধানী হয়ে উঠলো কালনা। এরপর থেকেই কালনায় রাজার উদ্যোগে অসংখ্য মন্দির তৈরি হলো। কালনা মন্দিরময় নগরীর মূল কারণ বর্ধমান রাজা। বিশেষ করে চিত্রসেনের স্ত্রী থেকে শুরু করে তাঁর পুত্র তেজচন্দ্র রায় হয়ে ধারাবাহিকভাবে জাল প্রতাপচাঁদ পর্যন্ত। বর্ধমান রাজপরিবারের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল ওনারা খুব ঘনঘটা করে সরস্বতী পুজো আনতো তাঁদের রাজধানীতে, বিশেষ করে বর্ধমানে। গবেষক স্বপন কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত উইলিয়াম ওয়ার্ড তাঁর লেখা বই ‘আ ভিউ অফ দ্য হিস্ট্রি, লিটারেচার, অ্যান্ড মিথোলজি অফ দ্য হিন্দুজ’-এর ভলিউম ২-এ লিখেছেন বর্ধমানের রাজা সরস্বতী পুজোকে উৎসাহ দানের জন্য বাৎসরিক ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতেন। সুতরাং সমস্ত দিক বিচার করে তাঁর মতে বর্ধমান রাজার অনুপ্রেরণাতেই কালনাতে সরস্বতী পুজো উদ্ভব হয়। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ১৭৪০ সালে বাংলায় প্রথম বারোয়ারি সরস্বতী পুজোর শুরু হয়েছে গুপ্তিপাড়ায় বিন্দুবাসিনী পুজোর মধ্যে দিয়ে।



 
———-
কালনার কয়েকটি পুজো কমিটির নাম ও তাদের থিম –
০১) বারুইপারা দক্ষিণ বারোয়ারি – “মাটির ঘরে মা”
০২) ত্রিধারা – দ্বিতীয় বর্ষ – রাজস্থানের জৈন মন্দির
০৩) সূর্য সমিতি – ৪১ বর্ষ – ঠিকানা
০৪) সপ্তর্ষি সংঘ (তালবোনা ) – ডিজনিল্যান্ড
০৫) বারুই পাড়া বারোয়ারি – ‘নীরবে কাঁদছে শৈশব’
০৬) পুরাতন সংঘ – ‘কালনার পুরাতন হাসপাতাল’
০৭) কালনা শ্রী সমিতি – ৭৮ বর্ষ – আদি মা – আলোকমালায় সাজব মোরা দেখবে কালনাবাসী ৭৮ বর্ষে এসে রঙিন ছটায় ভাসি।
০৮) যুবক সমিতি – আকাশে ক্যানভাস
০৯) কিশোর সমিতি ও কালনা মহিষমর্দিনী তলা অধিবাসীবৃন্দ – ১০৩ বর্ষ – তর্পণে দর্পনে – টিন, বাঁশের চটা, দড়ি, কটোরা, দই-এর হাঁড়ি, বেড়, প্লাই ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত শিব প্যান্ডেল থিম – আলোকসজ্জা-সহ বিশেষ প্রতিমা – বিশেষ আকর্ষণ – জব্বলপুর মধ্যপ্রদেশ খ্যাত পুনম ব্যান্ড
১০) দীপালি সংঘ – মৌমাছির দেশ / মৌচাক
১১) যুবশক্তি-০৬ – “আলোর সাজে সাজব মোরা”
১২) স্পুটনিক-৭০ – ৫৫ বছর – ঐতিহ্যের বাগদেবীতে মন্দিরময় কালনা ‘সনাতনীর আরাধনা’ সঙ্গে প্রতিমায় মন্দির নগরী কালনার পুরাতত্ত্বের বন্দনায় এবারের ভাবনা।
১৩) ক্লাব ডায়মন্ড – বিশেষ আকর্ষণ – শোভাযাত্রা
১৪) সন্ধ্যা প্রদীপ সংঘ – নারিকেলের মালার প্রতিমা
১৫) নিউ নবীন সংঘ – ২৮ বর্ষ – বিশেষ আকর্ষণ – প্রতিমা
১৬) যুগের দ্বীপ – কাল্পনিক মন্দির
১৭) নটরাজ ক্লাব – আঁধারে আলো
১৮) রূপালিকা ক্লাব – বিশেষ আকর্ষণ – প্রতিমা
১৯) ঐকতান ক্লাব – ঐতিহ্যর টানে
২০) নিউ বনফুল সমিতি – বিশেষ আকর্ষণ – আলোক সজ্জা
২১) আমলাপুকুর ইয়ং বয়েজ ক্লাব – ৩৩ বর্ষে – “কালনা জুড়ে জল্পনা আমলা পুকুরে আলপনা”
২২) জিউধারা বারোয়ারি সমিতি – সৃষ্টিতে সুখ
২৩) ইয়ং স্টার ক্লাব – “ভক্তের ডাকে মহাকাল জাগে” – কাল্পনিক প্যান্ডেল
২৪) নিউ প্রান্তিক ক্লাব -স্বপ্নপুরীর দেশে
২৫) ক্লাব হেরিটেজ –
২৬) বিধান স্মৃতি সংঘ – দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে মণ্ডপ
২৭) লক্ষণ পাড়া অধিবাসী বৃন্দ – ফুটবলের মাঝে রঙিন সময়
২৮) কালনা কলেজ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি – আল্পনায় ঢাকা চলার পথ
২৯) লায়ন ক্লাব – বিষয় – শোভা যাত্রা
৩০) গোলক সমিতি – অন্তর্জালে বিদ্ধ শৈশব
৩১) গৌরাঙ্গ সমিতি – “মিথ্যে হাসির বিজ্ঞাপনে ঢেকে গেছে মুখ”
৩২) বিনা শান্তি সমিতি – শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন কাহিনি – জীবন্ত মডেল
৩৩) মা গঙ্গা সমিতি
৩৪) সমাপ্তি সংঘ – ৩৬ বর্ষ – ফুচকার মণ্ডপ – (সকল দর্শনার্থীদের জন্য ফুচকার ব্যবস্থা থাকবে)
৩৫) নিউ নবীন সংঘ- আমরা একটু অন্য সাজে
৩৬) ক্ষ্যাপা মায়ের ক্ষ্যাপা ছেলে – ৩৭ বর্ষ – বাসমতী চালের প্রতিমা
৩৭) ধ্রুব সমিতি – ৬০ বছর – বাঁশের তালে বাগীশ্বরী
৩৮) প্রান্তিক (তালবোনা) – স্বপ্নপুরি
৩৯) সমন্বয় – লেজার শো আদিযোগী
৪০) মিতালী সংঘ – চলো যাই বিয়ে বাড়ি
৪১) সবুজ সমিতি – “সুতোয় বাঁধা পুতুল হয়ে তোমার আমার গল্প বলে” – বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের পুতুলের প্যান্ডেল এবং কাগজের তৈরি সরস্বতী প্রতিমা
৪২) ক্লাব উন্মেষ –
৪৩) নেতাজি তরুণ সংঘ – থিম – কান্তারা (এটা দক্ষিণের একটা সিনেমার নাম)
৪৪) নিউ ফরওয়ার্ড ক্লাব – সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
৪৫) অগ্নিবীণা – বোধন থেকে বিদায়
৪৬) যুগের দ্বীপ – তাইওয়ানের টেম্পল
৪৭) যুবলি স্টার – সোনার তরী
৪৮) লাল বাগান উদয়ন সংঘ – সহজ পাঠ
৪৯) স্বর্ণদ্বীপ ক্লাব – ধান থেকে তৈরি সমস্ত উপকরণ দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা

Exit mobile version